এলএনজি ও সার আমদানিসহ ক্রয় কমিটিতে ৮ প্রস্তাব অনুমোদন
ব্যয় হবে ১ হাজার ৯২৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা- বিশেষ সংবাদদাতা
- ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৫
স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং কৃষি সার আমদানির পাঁচটি পৃথক প্রস্তাবসহ আটটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৯২৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী দেশের বাইরে থাকায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো: মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)-এর সাথে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ এগ্রিমেন্ট চুক্তি সইকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে থেকে কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কার্গো আমদানির দুটি পৃথক (চলতি বছরের ১৬ ও ১৭তম) প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠান এ কার্গো দুটি সরবরাহ করবে। এর মধ্যে প্রতি এমএমবিটিইউ ১০.৮৬৩৭ ডলার হিসাবে (আগের দর ছিল ৯.৪৯৬৫ ডলার) গানভর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৪৬৯ কোটি ৭৮ লাখ ১১ হাজার টাকা।
অন্যদিকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১০.৭৩৩৭ ডলার হিসাবে (পূর্বের দর ৯.৬৮ ডলার) ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৪৬৪ কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
সমন্বয় ও সংস্কার সচিব জানান, বৈঠকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরব, মরক্কে, রাশিয়া ও চীন থেকে সার আমদানির পাঁচটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এসব সার আমদানি করবে।
তিনি জানান, এর মধ্যে প্রতি টন ৫৫৪ ডলার হিসাবে (পূর্বের দর ৫৮১ মার্কিন ডলার) সৌদি আরবের মা’এডেন চতুর্থ লটে থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানিতে ব্যয় হবে ২৪৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
প্রতি টন ৩৭৯.৫০ ডলার হিসাবে (পূর্বের দর ৩৮৬ ডলার) মরক্কোর ওসিপি এসএ থেকে চতুর্থ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১২৫ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
প্রতি টন ২৮৯.৭৫ ডলার হিসাবে রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন ‘প্রডিন্টরগ’ থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানিতে ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
এ ছাড়া দুটি প্রস্তাবে দুটি পৃথক লটে (প্রথম ও দ্বিতীয়) চীনের বেনিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন করে মোট ৮০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি মেট্র্রিক টন ডিএপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৫২৬.২৫ ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ৪৬৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।
তিনি আরো জানান, এছাড়া বৈঠকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেরশর (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ছয় হাজার টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তা) কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। নাবিল নাবা ফুডস প্রোডাক্টস লিমিটেড এ মসুর ডাল সরবরাহ করবে। প্রতি কেজি মসুর ডাল ১০২ টাকা ৯০ পয়সা হিসাবে এতে ব্যয় হবে ৬১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।