ঢাকাসহ জেলায় জেলায় ইসতিসকার নামাজে বৃষ্টি চেয়ে দোয়া
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৯
প্রখর খরা থেকে নিস্তার এবং স্বস্তির বৃষ্টি চেয়ে গতকাল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। নামাজ শেষে মুসল্লিরা মহান আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে মুনাজাত করেন। কিছুদিন ধরেন প্রচণ্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে প্রাণিকুল অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফসলের ক্ষেত চৌচির হয়ে যাচ্ছে। এ থেকে মুক্তি পেতে ইসতিসকার নামাজ শেষে দোয়া করা হয়।
ডেমরা : রাজধানীর ডেমরার ডগাইর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররাম হোসাইন খানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সালাতুল ইসতিসকার ও দোয়া অনুষ্ঠানে ইমামতি করেন আলেমে দ্বীন মাওলানা আবু তালেব মিয়া। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও থানা আমির মির্জা হেলাল, জসিম উদ্দিন শিকদার, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, হাসান মো: শিবলী, মাওলানা হোসাইন আহমেদ, সেলিম হোসাইনসহ বিপুলসংখ্যক মুসল্লি।
যাত্রাবাড়ি : তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা ময়দানে সকাল ১০টায় সালাতুল ইসতিসকার আদায় করা হয়। তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মুফতি মুহাম্মাদ আবু ইউছুফ খানের ইমামতিতে নামাজে আরো উপস্থিত ছিলেন- মাদরাসার উপাধ্যক্ষ ড. খলিলুর রহমান মাদানী, অভিভাবক মন্ডলির পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ড. আব্দুল মান্নান, মাদরাসার মুফাসসির মাওলানা জাকির হোসাইন শেখ, ফকিহ মুফতি মাওলানা মহিউদ্দিন, মুফতি মাওলানা শরীফুল ইসলামসহ মাদরাসার শিকরা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও অসংখ্য ওলামায়ে কেরাম ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন।
সালাতের আগে অধ্যক্ষ ড. মুফতি মুহাম্মাদ আবু ইউছুফ খান মূল্যবান নসিহায় বলেন, আসমান-জমিনে যা কিছু বিপদ ও দুর্যোগ এসে থাকে সেগুলো মানুষের হাতের কামাই। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের আল্লাহমুখী হতে হবে। আল্লাহকে ভয় করতে হবে। যাবতীয় পাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে। আজকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে তীব্র তাপদাহ চলছে। অসহ্য গরমে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে পানাহ চাই। আল্লাহ যেন রহমতের বৃষ্টির মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে আমাদের সবাইকে পরিত্রাণ দান করেন।
মাতুয়াইল : অধ্যক্ষ মুফতি মিজানুর রহমানের ইমামতিতে সকালে রাজধানীর মাতুয়াইলে তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি ও রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি মুহাম্মদ শাহজাহান খান, মীর বাহার আমিরুল ইসলাম, বায়েজিদ আহমদ, মিজানুর রহমান মালেক, মাহমুদ হোসাইন, বেলাল হোসাইন, মুহাম্মদ জুনাইদসহ বিপুলসংখ্যক মুসল্লি।
কোনাপাড়া : রহমতের বৃষ্টির জন্য সকালে রাজধানীর কোনাপাড়ায় ইসতিসকার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট সমাজসেবক আবু জয়নবের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত নামাজ ও দোয়ায় উপস্থিত ছিলেন- ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, আবু ছাঈম, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা আবদুর রশিদ, মাওলানা মীর আল আমিনসহ স্থানীয় মুসল্লিরা।
ঈশ্বরদী : সকালে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজে ইমামতি করেন আমবাগান মাদরাসার শিক্ষক আব্দুল হান্নান। বিশেষ নামাজের আয়োজন করেন ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মুফতি ওলিউল্লাহ।
পাবনা : শহরের কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকার দারুল আমান ট্রাস্ট ক্যাম্পাসে ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সকালে নামাজ ও মুনাজাত পরিচালনা করেন পাবনা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও মসজিদে আত তাকওয়ার খতিব মাওলানা আবদুস শাকুর।
ফেনী : শহরের আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন কয়েক শ’ মুসল্লি। নামাজের জামাতে ইমামতি করেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান। ফেনী শহর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ ইলিয়াছের সঞ্চালনায় নামাজ-পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা জামায়াতে আমির এ কে এম সামসুদ্দিন ও নায়েবে আমির অধ্যাপক আবু ইউছুপ।
ফেনী অফিস জানায়, ফেনীতে তীব্র গরমে সূর্যের তাপ উপেক্ষা করে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসতিসকার আদায় ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আল-জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত নামাজে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন। নামাজে ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা সেক্রেটারি মুফতি মাওলানা আবদুল হান্নান। ইসতিসকার নামাজে অংশ নেয়া হাজারো মুসল্লি মহান আল্লাহর দরবারে বৃষ্টি প্রার্থনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন। নামাজের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জামায়াতের জেলা আমির এ কে এম সামছুদ্দীন, নায়েবে আমির অধ্যাপক আবু ইউসুফ, শহর আমির মু. ইলিয়াছ।
নামাজে আগত মুসল্লিরা বলেন, তীব্র খরতাপে সাধারণ মানুষ খুব কষ্টে দিন পার করছে। গরমের তীব্রতায় ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। সে জন্য আল্লাহর রহমতের আশায় নামাজ আদায় করে বৃষ্টি প্রার্থনা করতে সমবেত হয়েছি।
ধামরাই (ঢাকা) সংবাদদাতা জানান, এই তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি কামনা জন্য আল্লাহ কাছে পানাহ চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করে ঢাকার ধামরাইয়ের স্থানীয় বাসিন্দারা।
ধামরাই শরিফবাগ ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে ইসতিসকার নামাজে ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ ফাইজুল আমীন সরকার। ইসতিসকার নামাজে শিশু হতে বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ প্রসঙ্গে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ ফাইজুল আমীন সরকার নয়া দিগন্তকে বলেন, সারা দেশের মতো ধামরাইয়ে তীব্র তাপদাহ ও গরম কারণে দীর্ঘ দিন ধরে এখানে বৃষ্টি নেই। অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, গবাদিপশু কষ্ট পাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতেই ধামরাইয়ের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা একত্রিত হয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টি ও পানির প্রার্থনা করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা জানান, ইসতিসকার সালাত আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ঈশ্বরদী উপজেলা ওলামা মাশায়েকদের উদ্যোগে আয়োজিত সকাল ১০টায় ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সলাতুল ইসতিসকার আদায় করা হয়। এতে ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন ঈশ্বরদী সিদ্দিকিয়া কওমি মাদরাসার সাবেক মহতামিম মুফতি মাওলানা আবদুল হান্নান। ইসতিসকা সলাতের খুতবা পাঠ করেন ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মুফতি ওলিউল্লাহ। উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের শহীদ আবুল কাশেম উচ্চবিদ্যালয়ে এলাকাবাসীর উদ্যোগে সলাতুল ইসতিসকা আদায় করা হয়েছে। এতে ইমামতি ও খুতবা পাঠ এবং দোয়া পরিচালনা করেন সাহাপুর মিস্ত্রিপাড়া বায়তুন নুর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাসুম বিল্লাহ।
মুলাদী (বরিশাল) সংবাদদাতা জানান, বরিশালের মুলাদী পৌরসভার ফজলুল উলুম মাদরাসা ঈদগাহ মাঠে ২৪ এপ্রিল বুধবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় ফজলুল উলুম মাদরাসার কর্তৃপক্ষ ও ৪-৫ নম্বর এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ নামাজের আয়োজন করা হয়। পৌরসভার সব শ্রেণিপেশার মানুষ নামাজে অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে চলমান তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টিতে মানুষ, পশু-পাখি ও জীব-জন্তুর জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। এ থেকে বাঁচতে নামাজ ও মুনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা জাতীয় ইমাম সমিতির সেক্রেটারী মাওলানা মুফতি রফিকুল ইসলাম।
সালথা (ফরিদপুর) সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ফসলি মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন এলাকাবাসী। সালথা উপজেলা সদর মাঠে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করা হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন সালথা মডেল মসজিদের ইমাম মুফতি রবিউল ইসলাম।
মুনাজাত শেষে স্থানীয় কৃষক মো: বকুল মোল্যা ও ফারুক হোসেন বলেন, প্রচণ্ড গরম আর রোদে পাগল হয়ে যাচ্ছি আমরা। এমন অবস্থায় বাড়িতে টিনের ঘরে বসবাস করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। আবার মাঠে আমাদের বিঘার পর বিঘা জমির পাটের চারা পুড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই রোদে বৃষ্টি না হলে জমির পাট পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। এতে আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবো।
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) সংবাদদাতা জানান, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার সালাত আদায় করেছেন মঠবাড়িয়া পৌর শহরের মুসল্লিরা। শহরের মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ মাঠে রোদ উপেক্ষা করে এ ইসতিসকার সালাত আদায় করেন মুসল্লিরা। এ সময় শহরের শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমান এ ইসতিসকার সালাতে অংশ নেন। এ ইসতিসকার সালাতের জামাতের ইমামতি করেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও টিকিকাটা নূরিয়া সিনিয়র মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মো: সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ বন্দর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব আলহাজ মাওলানা মো: শাহ জালাল, মডেল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি আবু মোহাম্মদ শাহীন আলম, সরকারি কলেজ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো: শামসুল হক, মঠবাড়িয়া ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মো: মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল মান্নান প্রমুখ।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, দেশে গরমের তীব্রতা চরমে পৌঁছেছে। জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে ইসতিসকার নামাজ আদায় কর্মসূচি পালন করেছে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী। গতকাল কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকায় সর্বসাধারণের উপস্থিতিতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে ইমাম সাহেব মুসল্লিদের নিয়ে সারা দেশে তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করেন।
হালিশহর এলাকায় অনুষ্ঠিত ইসতিসকার নামাজে অংশগ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, মহানগরী অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত সকলে নিজেদের আগের সব গুনাহ ও ভুলভ্রান্তির জন্য আল্লাহর নিকট তওবাহ করেন। তা ছাড়া অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে এবং চলমান বৈশ্বিক সঙ্কট থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।
বগুড়া অফিস জানায়, আল্লাহর নিকট বৃষ্টি প্রার্থনা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন বগুড়ার বিভিন্ন এলাকার মানুষ। সদরের গোকুল এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষ গোকুল তছলিম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নামাজের আয়োজন করেন। এতে বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন। নামাজের ইমামতি করেন গোকুল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের খতিব মাওলানা আমিনুর ইসলাম। নামাজ শেষে বৃষ্টির আশায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা কেঁদে কেঁদে বৃষ্টি প্রত্যাশায় দোয়া করেন।
এদিকে বগুড়া জেলা অঙ্কন ও প্রচার শিল্পী সমিতি আয়োজনে বাদুড়তলা এলাকায় তীব্র রোদে রাস্তায় চলাচলরত মানুষের মাঝে প্রায় ২০০০ গ্লাস ঠাণ্ডা শরবত ফ্রি পান করানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা অঙ্কন ও প্রচার শিল্পী সমিতির উপদেষ্টা মো: আজিজুল হক মন্্জু, সভাপতি মো: মিজানুর রাশেদ রব্বানী, সাধারণ সম্পাদক মো: ফজলে রাব্বী, এনামুল হক, এ কে এম নাফিছুল আলম (জেমস্্), আমিনুল ইসলাম, সৈয়দ আব্দুর রহমান, গোলাম রফিক, মো: সাব্বির হোসেন, আব্দুল মান্নান দুলাল, রনি শাহ্্, আব্দুল হালিম তনু (শ্বয়ন), শাহাদৎ হোসেন সহ অন্য সদস্যরা। এ দিকে বগুড়া শহর ছাত্রদলের উদ্যোগে শহরের নবাববাড়ী রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে পথচারীদের মাঝে ফ্রি শরবত ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়। এ সময় ছাত্রদল নেতা রাঙ্গাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জে সালাতুল ইসতিসকার আদায় ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজে ইমামতি করেছেন দাতা সড়কের বড় মসজিদের খতিব আবদুর রহমান। তীব্র গরমে সূর্যের তাপ উপেক্ষা করে নামাজে হাজারো মুসল্লিরা অংশ নেন। নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে বৃষ্টি প্রার্থনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা।
স্থানীয় কাউন্সিলর ও নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, আমরা এই তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করে এই নামাজ আদায় করেছি। এ দিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ জামতলাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সালাতুল ইসতিসকা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়।
পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সরকারি কলেজ মাঠে সালাতুল ইসতিসকা আদায় করেছেন এলাকাবাসী। খোলা আকাশের নিচে ফাঁকা মাঠে নামাজ পড়েন তারা। বিশেষ এ নামাজে মঠবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক মুসল্লি এতে অংশগ্রহণ করেন। নামাজে ইমামতি করেন মঠবাড়িয়ায় দক্ষিণ বন্দর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা শাহ জালাল। তিনি জানান, প্রচণ্ড তাপদাহে বিপর্যন্ত জনজীবন। মংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা জানান, মংলা পৌর ঈদগাহ মাঠে মংলা উপজেলা ইমাম পরিষদের উদ্যোগে ও মংলা পোর্ট পৌরসভার বাস্তবায়নে এ নামাজ ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি ও মুনাজাত পরিচালনা করেন মংলা উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুফতি রেজাউল করিম। মংলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নামাজ পড়তে আসেন মুসল্লিরা। এ সময় মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মুনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা অঝরে চোখের পানি ছেড়ে তওবা প্রার্থনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মংলা উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুফতি রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আ: রহমান, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ শেখ কামরুজ্জামান জসিম প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা