১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহে পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা

-

অস্বাভাবিক তাপমাত্রার কারণে এবং অসহ্য গরমে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে পর্যটনকেন্দ্র সাগরকন্যা কুয়াকাটা। কোথাও নেই পর্যটকদের কোলাহল। সৈকতজুড়ে শুধু ধু ধু বালুচর। দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতজুড়ে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। দীর্ঘ সরকারি ছুটিতেও মিলছে না পর্যটক। স্থানীয় ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তারা বলেছেন, অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহের কারণে এবার পর্যটক কমেছে।
প্রতিদিন এখানে অনেক দর্শনার্থীর আগমন ঘটত। সকাল, দুপুর, বিকাল কিংবা গভীর রাত পর্যন্ত পর্যটকদের পদচারণায় সাগরতট থাকত মুখরিত। পর্যটন স্পটগুলোতেও ছিল পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়। সাগরের ঢেউ গর্জন করে তীরে আছড়ে পড়ছে। দেখলে মনে হয় যেন এসব মনোরম দৃশ্য দেখার কেউ নেই। কিছু পর্যটক থাকলেও তারা দিনের বেলা হোটেল থেকে বের হচ্ছে না প্রচণ্ড গরমের কারণে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে পড়েছে একেবারে গ্রাহকহীন। এ দিকে কলাপাড়াসহ উপকূলজুড়ে অসহ্য তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৈদ্যুতিক পাখার বাতাসেও মিলছে না স্বস্তি।
কুয়াকাটা সৈকতে চটপটি বিক্রেতা আলামিন বলেন, ঈদুল ফিতর ও বৈশাখ উপলক্ষে অনেক পর্যটকের ভিড় ছিল। এখন অস্বাভাকি তাপপ্রবাহের কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে।
হোটেল গ্র্যান্ড সাফা ইনে ম্যানেজার মো: সাইদুর রহমান জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে কুয়াকাটা পর্যটক নেই। বর্তমানে হোটেলের বিদ্যুৎ বিল ও কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, গরমে পর্যটক এসে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। যে কারণে মানুষ এসে টিকতে পারছেন না। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কিছু ট্যুরিস্ট আসছিল এরপর থেকে প্রচণ্ড গরমের কারণে বর্তমানে হোটেল-মোটেলের সিট ফাঁকা রয়েছে। সাগরের পাড়ে এসে মানুষ উত্তাপে টিকতে পারছে না। লবণাক্ত পানিতে শরীর শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement