বেনাপোল দিয়ে পচনশীল পণ্য আমদানি প্রায় বন্ধ
- বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা
- ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
বেনাপোলের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ উচ্চ পচনশীল পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে সিরিয়ালের নামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাক আটকে রাখায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে পচনশীল পণ্য আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আমদানিকারকরা বেনাপোল বন্দর ছেড়ে চলে যাচ্ছে অন্য বন্দরে। বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের প্রভাব পড়েতে শুরু করেছে। রাজস্ব আয়ের একটা বড় অংশ আসে পচনশীল পণ্য আমদানি থেকে।
ভারত থেকে পচনশীল পণ্যের একটা বড় অংশ আমদানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ফল, মাছ, সবজি, ক্যাপসি ক্যাম, কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য পচনশীল পণ্য আমদানি হয় দুপুরের পরপরই। ফলে সন্ধ্যার আগেই এসব পণ্য চালান খালাস হয়ে চলে যায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু গত মাস খানেক ভারতীয় বন্দর কর্তৃপক্ষ সিরিয়ালের নামে পচনশীল পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দুপুরের পর ২০ ট্রাক জেনারেল পণ্যের পর মাত্র পাঁচ ট্রাক পচনশীল পণ্য রফতানি নিয়ম চালু করেছে। ফলে বেশির ভাগ পচনশীল পণ্য চালান দিনের দিন প্রবেশ করতে না পেরে ওপারেই নষ্ট হচ্ছে। কোনো কোনো চালান সিরিয়াল পেয়ে রাতে প্রবেশের অনুমতি পেলেও বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রাতে কোনো পচনশীল পণ্য খালাস না দেয়ায় পরের দিন বন্দর থেকে ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে। ফলে বেশির ভাগ পণ্য চালান পচন ধরতে শুরু করে।
পচনশীল পণ্য আমদানিকারকদের দাবি, সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত জেনারেল গুডস আমদানির অনুমতি দেয়া হোক। শুধুমাত্র পচনশীল পণ্য চালান আমদানির ক্ষেত্রে দুপুরের পর থেকে মাত্র ২/৩ ঘণ্টার জন্য একসাথে সব পচনশীল পণ্য চালান আমদানির অনুমতি দিলে পচনশীল পণ্য চালান খুব দ্রুত সময়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়। গত মাস খানেক আগেও এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ ট্রাক পচনশীল পণ্য আমদানি হতো। যা থেকে সরকার প্রতিদিন ১৮-২০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করছিল। ফলে বর্তমানে আমদানির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫/১০ ট্রাকে। যদিও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাস ও নিষ্পত্তিকরণ বিধিমালা-২০২১ নামে একটি নতুন বিধিমালা জারি করেন। যার আওতায় ৬৩ ধরনের পচনশীল পণ্যের শুল্কায়নসহ সব কর্মকাণ্ড দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ৩০ মার্চ ভারতীয় পেট্রাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার অনিল কুমার সিংহ স্বাক্ষরিত এক পত্র জারি করে পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের ম্যানেজারকে বলা হয়েছে। পচনশীল পণ্য দ্রুত রফতানির বিষয়টি সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ আর্টিকেল নম্বর ৭.৯ ডাব্লুউ টিও (ডঞঙ) ট্রেড ফেসিলিটেশন এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী এ আদেশ দ্রুত কার্যকর করতে বলা হলেও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তপক্ষ তা করছেন না।
বেনাপোল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাসের নিয়ম থাকলেও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তপক্ষ তা প্রতিপালন করছেন না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা