রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেলেন না রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মকবুল
- রাজশাহী ব্যুরো
- ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহা. মকবুল হোসেনের ক্ষমার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বিধিবহির্ভূতভাবে ছয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক এই শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের ক্ষমার আবেদন নাকচ করা হয়। ফলে তার বেতন গ্রেডের ধাপে নিম্ন অবনতিকরণ লঘুদণ্ড বহাল থাকল। গত ৩১ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের শৃঙ্খলাবিষয়ক শাখার সচিব সোলেমান খান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বর্তমানে ওএসডি হয়ে থাকা বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. মকবুল হোসেনের নামে ২০২০ সালে ১৫ জানুয়ারি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ছয় কর্মকর্তাকে বিধিবহির্ভূতভাবে পদোন্নতির আদেশ দেয়া ও এ সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তের জন্য নির্ধারিত তারিখ অবহিত থাকা সত্ত্বেও তদন্তে অনুপস্থিত থেকে দায়িত্ব অবহেলার কারণে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলায় একই বিধিমালার বিধি ৪(২) (ঘ) বিধি মোতাবেক ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই প্রজ্ঞাপনমূলে ‘বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকর’ সূচক লঘুদণ্ড দেয়া হয়। এরপর তিনি এ আদেশের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ মার্জনা করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি বরাবর পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি পুনর্বিবেচনার আবেদন নামঞ্জুর করে আগের দণ্ড বহাল রেখেছেন। ফলে ড. মোহা. মকবুল হোসেনের ‘বেতন গ্রেডের নি¤œতর ধাপে অবনমিতকরণ’ সূচক লঘুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখা হলো।
তবে এ ব্যাপারে অধ্যাপক ড. মোহা. মকবুল হোসেনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানিয়েছে, এর আগে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের এক তদন্তে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ১৫ কর্মকর্তার পদোন্নতিতে অনিয়ম ধরা পড়ে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) বিভাগের পৃথক দুই চিঠির প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২৩ থেকে ২৫ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি সরেজমিনে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে এ বিষয়ে তদন্ত করে। ২০২২ জানুয়ারিতে এ কমিটি দুদক ও মাউশিতে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে ওই ১৫ কর্মকর্তার পদোন্নতি স্থগিত এবং গ্রহণ করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেয়ার সুপারিশ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পর পদোন্নতি স্থগিত এবং গ্রহণ করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা