আওয়ামী লীগ স্বৈরতন্ত্র ও ভোটচুরির রোল মডেল : নজরুল ইসলাম খান
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
বিশ্ব রাজনীতিতে বর্তমান সময়ে যত স্বৈরাচার আছে তাদের বিচার বিশ্লেষণ করলে গণতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রে পদার্পণ করার এবং ভোট চুরির যত রকম কায়দা-কানুন আছে তা প্রয়োগের বিবেচনায় আওয়ামী লীগ সবার কাছে রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার রাজনৈতিক কারণে বেগম খালেদা জিয়া গৃহবন্দী করে রেখেছে। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বানোয়াট মামলায় ফরমায়েশি সাজা দিয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। আমাদের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলছে এবং চলবে। যারা ক্ষমতায় আছে বলে দাবি করে তারা জোর করে ক্ষমতায় আছে। তারা জনগণের সরকার নন। নিজেদের স্বার্থ বিকিয়ে অন্যের সাহায্যে ক্ষমতায় আছে। যেসব দেশের সহায়তায় ক্ষমতায় আছে তাদের প্রত্যেককে অবৈধ সুবিধা দিয়েছে। জনগণ এটা মানবে না। জনগণের আন্দোলন আরো বেগবান এবং সফল হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের সাথে আছি এবং জনগণও আমাদের সাথে আছে। আমাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী। তবে কিছু সময়ের প্রশ্ন থাকে। তাদের পতন হতেই হবে। জনভিত্তিহীন আওয়ামী ডামি সরকার কোনো দিক দিয়ে সফল হতে পারছে না। দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বাড়ছেই। তারা দুর্নীতি লুটপাট ও অর্থপাচারের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে দেউলিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আসলে কোনো কিছুর ওপরই তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই।
সভাপতির বক্তব্যে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: ইরান বলেন, কিছু বাড়ি বা সম্পত্তির কেয়ারটেকার আছে যারা কর্মচারী হিসেবে চাকরিতে ঢুকে পরে অবৈধভাবে মালিকের সম্পদ গ্রাস করে নিজেই মালিক বনে যাওয়ার চেষ্টা করে। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে হিজাব ও তসবিহ হাতে ছলনা করে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসে। এরপর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ধীরে ধীরে তার পুরনো বাকশালী স্বৈরতান্ত্রিক রূপে সে আবির্ভূত হয়। একের পর ভোট চুরির কৌশল আবিষ্কার করে তারা মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে নিয়েছে। তারা এখন লুটপাট করে দেশটাকে নিজের পৈতৃক সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে। নিপীড়িত নিষ্পেষিত জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ভোটচোরদের প্রতিহত করবে বলেও তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, ডেইলি নিউনেশন সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, পিপলস পার্টির সভাপতি বাবুল চাখারি, বাম ঐক্যের সমন্বয়ক কমরেড হারুন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফত, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মহাসচিব মোস্তফা তারিকুল হাসান, ইসলামী সমাজের নায়েবে আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াসিন, লেবার পার্টির মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রাজু, যুগ্ম মহাসচিব মো: হেলাল চৌধুরী, মোহাম্মদ রুম্মান সিকদার, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, প্রচার সম্পাদক মো: মনির হোসেন খান, অর্থ সম্পাদক মো: লিটন সিকদার, নগর দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক মো: জাহিদ হোসেন, ছাত্রমিশনের সভাপতি সৈয়দ মো: মিলন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো: সাকিল হোসেন, প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।