১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ঈদ ঘিরে সক্রিয় অপরাধী ও প্রতারক চক্র

-

ঈদ ঘিরে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে অপরাধী ও প্রতারক চক্র। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অগোচরে ছিনতাইকারী, পকেটমার, অজ্ঞান ও মলমপার্টির সদস্যরা ঘুরে বেড়াচ্ছে বাণিজ্যিক কিংবা শপিংমল এলাকা, বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে। অপরাধীরা ওঁৎ পেতে থাকে। সুযোগ পেলেই তারা সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়।
শুধু তাই নয়, ঈদ মৌসুমে অপরাধী চক্র জাল টাকা ছাড়ানোর পাঁয়তারা করে। এই ব্যস্ত সময়ে কেনাকাটার ভিড়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে জাল নোটের কারবারিরা। অনলাইনে পেজ খুলে এসব জাল টাকার ডেলিভারি দেয় তারা।
অপর দিকে ছিচকে অপরাধীদের পাশাপাশি তৎপরতা বেড়েছে কিশোর অপরাধীদের। ঈদকে কেন্দ্র করে তারা পাড়া, মহল্লায় চাঁদাবাজি করছে। গত ২ এপ্রিল রাজধানীর কদমতলীর পূর্ব জুরাইনের বাসিন্দা সাজেদা বেগমের বাড়িতে চাঁদার জন্য যায় একদল কিশোর অপরাধী। এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের ছয়জনকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে র‌্যাব সদস্যরা। র‌্যাব-১০ জানায় সাজেদা বেগম বাড়ি ভাড়া দিয়ে সংসার চালান। কয়েক দিন আগে এলাকার একদল কিশোর অপরাধী তার বাড়িতে গিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ঘটনার দিন তারা আবার সাজেদার বাড়িতে হানা দেয়। বিষয়টি তিনি র‌্যাবকে জানান। র‌্যাব সদস্যরা এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে গ্রেফতার করে।
এ দিকে বাস ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে ঘুরে বেড়াছে, ছিচকে ছিনতাইকারী, পকেটমার, অজ্ঞানপার্টি ও মলমপার্টি। গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজন যাত্রী অজ্ঞানপার্টির কবলে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছেন। ৫ এপ্রিল শুক্রবার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি লঞ্চে বোরকা পরে ছিনতাইর চেষ্টা করে তিন যুবক। নৌপুলিশ তাদের আটক করে।
এ দিকে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ঠেকাতে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। চাঁদাবাজি, অপহরণ, ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে চলছে কঠোর অভিযান।
ডিএমপি বলছে, ঢাকা মহানগরের সব এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অজ্ঞানপার্টি ও মলমপার্টির তৎপরতা ঠেকাতে মাঠে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। যে নামেই চাঁদা আদায় করুক, সব ধরনের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ছাড়া রাজধানীর বড় বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিংমলে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এসব এলাকা চিহ্নিত করে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও। এমন কড়া নজরদারির মধ্যেও অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ে লিপ্ত হচ্ছে কিছু চক্র।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার লিটন কুমার সাহা বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বড় বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিংমলে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এসব এলাকা চিহ্নিত করে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের টহল টিমসহ বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। ছিনতাই ঠেকাতে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় অনেক অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। আমরা বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখছি, যেখানে গ্যাপ রয়েছে সেগুলো ধরেও কাজ করছি। আমাদের বড় একটি অংশ সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। ঈদকে ঘিরে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। ঈদে লোকজনের চলাচল বেড়ে যায়। অনেকে আগেভাগে গন্তব্যে পৌঁছাতে চায়। মার্কেটগুলোতে ভিড় হয়। সব কিছু মাথায় রেখে র‌্যাব নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। ঈদে জাল নোটের কারবার যারা করে তাদের ওপর বিশেষ নজরদারি রাখছে র‌্যাব। র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক অনলাইনে নজরদারি করছে। এ ছাড়া চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে র‌্যাবের বিভিন্ন ইউনিট সড়ক-মহাসড়কে কাজ করছে।


আরো সংবাদ



premium cement
শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন একক কর্তৃত্ব কায়েম করতে : গোলাম পরওয়ার আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নতুন প্রেসিডেন্ট রচি, সম্পাদক মশিউর সাভারে ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নে ট্যানারীতে শ্রমিক সমাবেশ ভারতে উপাসনাস্থল নিয়ে আপাতত নতুন মামলা করা যাবে না সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারকে যে বার্তা দিলো পশ্চিমতীরের ইসলামী আন্দোলন প্রধান বিএনপি শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চায় না : ড. মঈন খান রাজশাহীতে আরো ২ মামলায় গ্রেফতার সাবেক এমপি আসাদ স্কুলে ভর্তির লটারির ফল জানা যাবে যেভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তাদের রুখে দিতে হবে : জাহিদ হোসেন পতিত স্বৈরশাসকের জন্য ভারত মায়াকান্না করছে ‘অপশক্তিকে রুখে দিয়ে দেশকে বাঁচাতে হবে’

সকল