১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৩ জনের মৃত্যু

-

ঢাকার ধামরাই পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ইটালি প্রবাসী ইব্রাহিম হোসেনের পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় গত ২৬ মার্চ রাত ৩টায় গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভাড়াটিয়া নুরুল ইসলাম নান্নুসহ তার পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়ে রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদের মধ্যে গত ৩১ মার্চ সোফিয়া, গত সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে নুরুল ইসলাম নান্নু এবং কিছুক্ষণ পরে (দুপুরে) তার ছেলে সোহাগ মারা যান। একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এদের চারজনের মধ্যে মেয়ে সাথী ছাড়া তিনজনই মৃত্যুবরণ করেছেন।
অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের অন্য ভাড়াটিয়ারা ও ভবন মালিকের আত্মীয়স্বজনসহ এলাকাবাসীর সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও এ অগ্নিকাণ্ডে ভবনের নিচতলার ভাড়াটিয়া ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া (৬২) সহ তার স্ত্রী সুফিয়া (৪৬), কন্যা সাথী (২১) ও ছেলে সোহাগ (১৮) অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হলে প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ৩টার দিকে ধামরাই পৌরসভার মোকামটোলা মহল্লায় ইতালি প্রবাসী ইব্রাহিমের পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় সিলিন্ডারের গ্যাস চুলার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। ধামরাই থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পর্যবেক্ষণ করেন। ২৬ মার্চ ওই ঘটনার পর ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোহেল রানা বলেছিলেন, সাহরির জন্য রান্না করতে গেলে তিন কক্ষবিশিষ্ট ফ্ল্যাটে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ওই পরিবারের চারজন দগ্ধ হন। ঘরে সিলিন্ডার গ্যাস চুলা বা লাইনে লিকেসের কারণে জমানো গ্যাস থাকায় গ্যাস চুলায় আগুন ধরাতে গেলে বিস্ফোরণ হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ মৃত সোফিয়া জীবিত অবস্থায় জানিয়ে ছিলেন তিনি গ্যাস চুলায় সাহরির জন্য রান্না করার সময় অটো সুইচ দেয়ার সাথে সাথেই ঘরে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
নান্নু মিয়া সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন। তিনি চাকরি শেষ করে অবসরপ্রাপ্ত। স্ত্রী সুফিয়া গৃহিণী, মেয়ে সাথী গণস্বাস্থ্য মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএসের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী হিসেবে অধ্যয়নত এবং ছেলে সোহাগ এইচএসসিতে অধ্যয়নত ছিল।


আরো সংবাদ



premium cement