সংঘর্ষের আশঙ্কায় পূর্ব রামপুরার মুক্তিযোদ্ধা কলোনির বাসিন্দারা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫০
সন্ত্রাসী হামলার জেরে সংঘর্ষের আশঙ্কায় রয়েছেন রাজধানীর পূর্ব রামপুরার মুক্তিযোদ্ধা কলোনিসহ আশপাশ বাসিন্দারা। মার্চের প্রথম সপ্তাহে সন্ত্রাসী হামলায় এগারো জনের আহত হওয়ার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ২৪ আসামির মধ্যে ১৯ জনই জামিনে রয়েছেন। জামিনে ছাড়া পেয়ে আসামিরা বাদিকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে বাদি ও আহতদের দাবি। ঘটনার পর পরই কলোনির অনেকেই ভয়ে এলাকা ছেড়েছেন। এমনকি হামলার পর কলোনির একটি শিক্ষাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূর্ব রামপুরার ১৭৫/৫ নম্বর প্লটে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। প্লটটির ভেতরে অন্তত শতাধিক মানুষের বসবাস। সেখানে বিএমজেএফ (বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন) নামের একটি অফিস রয়েছে। অফিসটির পাশে থাকা সঙ্গীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। অভিভাবকরা ভয়ে তাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে পাঠাচ্ছেন না। শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টরাও রয়েছেন চরম আতঙ্কে। কলোনির অধিকাংশ বাসিন্দাই নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ি ও ইসলামপুরসহ আশপাশ এলাকায়।
হামলার ঘটনায় রামপুরা থানায় দায়েরকৃত মামলার বাদি মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান জানান, হামলাকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে কলোনির ভিতরে তাকেসহ ১১ জনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে। এমন পরিস্থিতিতে কলোনিজুড়ে ডাক চিৎকার শুরু হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ধারালো ছুরি দিয়ে তার মাথায় একাধিক আঘাত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। যদিও পুলিশ মামলা নিয়েছে ১১ দিন পর ১৭ মার্চ। আসামিরা জামিনে বেরিয়ে তাকেসহ নিরীহ কলোনিবাসীদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই ভয়ে সপরিবারে এলাকা ছেড়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে মূল গেট দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কলোনির ভিতরে ঢুকে হামলার ঘটনাটি ঘটায়। হামলার সময় কলোনি থেকে প্রায় দুই লাখ ১৫ হাজার টাকা খোয়া গেছে। এ ব্যাপারে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা রামপুরা থানার এসআই মো: ফরিদ উদ্দিন বলেন, আসামিদের মধ্যে ১৯ জন জামিনে রয়েছেন। বাকিরা পলাতক। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে সিসিক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ মোতাবেক জড়িতদের শনাক্তপূর্বক গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
হামলার নেপথ্যের কারণ সম্পর্কে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মূলত জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই হামলার ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া আধিপত্য বিস্তারের বিষয়াদিও আছে। মামলা দেরিতে নথিভুক্ত হওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রামপুরা থানার ওসি মো: মশিউর রহমান বলেন, বাদি আহত হয়ে দীর্ঘ সময় চিকিৎসাধীন থাকায় মামলা নিতে দেরি হয়েছে। বাদি যদি হুমকি পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি পুলিশের সহায়তা নিতে পারেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা