চার বিভাগে হঠাৎ বেড়েছে তাপমাত্রা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫০
চার বিভাগে হঠাৎ বেড়েছে তাপমাত্রা। চার বিভাগেই উচ্চ তাপমাত্রা ৪০ সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই করছে। রোজার দিনে মানুষ এমনিতেই বেশ অস্বস্তিতে ছিল, এর সাথে আজ আরো তাপমাত্রা বাড়ার আভাস রয়েছে, ফলে বেশ পরিবেশে থাকবে বেশ অস্বস্তি। কারণ বাতাসে থাকবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে জলীয়বাষ্প। বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকলে ঘাম বাড়ে। আজ মঙ্গলবার সারা দেশের বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, ফলে দেখা যায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘাম।
গতকাল পাবনা জেলার ঈশ্বরদী ও মংলায় উঠেছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সার্বিকভাবে গতকাল খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা বেশি ছিল।
দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি তাপ প্রবাহের মধ্যে রোদে হাঁটলে অধিক তাপমাত্রার সাথে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, হিটস্ট্রোকের কারণে হঠাৎ কেউ কেউ সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলতে পারেন। গরম সহ্য করতে পারেন না এমন লোকদের দুপুরের রোদে খোলা আকাশে নিচে অধিক সময় অবস্থান না করার পরামর্শ দিয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা। তাছাড়া শিশুদের অধিক ঠাণ্ডা পানি ও বাসি খাবার না খাওয়াতে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বিশুদ্ধ পানি পান করতে না পারলে ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে অনেকের। আইসিডিডিআরবির ডায়রিয়া ইউনিটের চিকিৎসকেরা সর্বক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পানি পান করতে তারা পরামর্শ দিয়েছেন।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলো এবং নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দেশের কিছু স্থানে তাপমাত্রা উঠে যেতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
হঠাৎ গরম বেড়ে যাওয়ার পেছনে যুক্তি হিসেবে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হওয়ায় জলাশয়ে পানি জমে গেছে। মাটি ভিজে যাওয়ায় সূর্যের তাপে সেই পানি বাষ্প হয়ে বাতাসে জমা হতে শুরু করায় বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। তাছাড়া পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বাতাসে জলীয়বাষ্প বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশেই শুরু হয়েছে ভ্যাপসা গরম। তা থেকে শুরু হচ্ছে বেশ অস্বস্তি, হচ্ছে প্রচুর ঘাম। রোজার দিনে রোজাদারদের জন্য এই ঘাম তাকে বেশ দুর্বল করে দেবে। ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যাচ্ছে, তেমনি বেরিয়ে যাচ্ছে প্রয়োজনীয় লবণও।
চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস না থাকলে রোজাদারকে ইফতারিতে চিনি জাতীয় খাবার খেতে পরামর্শ দিয়েছেন। উচ্চরক্তচাপ না থাকলে খাবার স্যালাইনও পান করতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রয়োজন মতো। তাহলে রোজা ভাঙার পরে শরীরে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা