১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ড্রেজিংয়ে অনিয়ম-দুর্নীতিতে ১০ নৌপথ পরিত্যক্ত

এসসিআর এফের প্রতিবেদন
-

নদী খনন ও ড্রেজিংয়ে (পলি অপসারণ) অনিয়মের কারণে ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলগামী ১০টি নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে। আগে ৪১টি নৌপথে লঞ্চসহ পণ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের নৌযান চলত। এখন এই সংখ্যা নেমে হয়েছে ৩১।
শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নদী খনন ও পলি অপসারণ খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিলেও সংশ্লিষ্টদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার সাথে উপকূলগামী স্বীকৃত নৌপথের সংখ্যা ৪১টি। তবে এখন ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ৩১টি নৌপথে যাত্রীবাহী নৌযান (লঞ্চ) চলাচল করে। তীব্র নাব্য সঙ্কটের কারণে বাকি নৌপথগুলোতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। লঞ্চ মালিক নেতাদের বরাত দিয়ে এসসিআরএফ আরো জানায়, ৩১টি নৌপথ সচল থাকলেও সেসব পথের বিভিন্ন স্থানেও নাব্য সঙ্কট রয়েছে। ফলে লঞ্চ চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। এ কারণে সচল নৌপথগুলোতে লঞ্চের সংখ্যা কমছে।
নৌযাত্রী, নৌশ্রমিক ও অধিকারকর্মীদের বরাত দিয়ে এসসিআরএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, নদী খনন ও পলি অপসারণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নেই। এ কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এ কাজে লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দও দিলেও ড্রেজিং বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বিলুপ্ত নৌপথ উদ্ধারে দীর্ঘ ১৬ বছরেও কাক্সিক্ষত সাফল্য আসেনি।
বিআইডব্লিউটিএর একাধিক সূত্রসহ নৌযান মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, খনন ও পলি অপসারণের মাধ্যমে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা থাকলেও ২০১০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সাত হাজার কিমি: নৌপথ সচল হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৮০০ কিমি: আগেই সচল ছিল। এই হিসাবে, বিলুপ্ত নৌপথ পুনরুদ্ধার হয়েছে মাত্র তিন হাজার ২০০ কিমি:। সূত্র মতে, ৫৩টি অভ্যন্তরীণ নৌপথ খনন মহাপরিকল্পনার আওতায় প্রথমপর্যায়ে ২০২৫ সালের মধ্যে ২৪টি নৌপথের ১০ হাজার কিলোমিটার পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহারকারী নৌযান মালিকদের বিভিন্ন সংগঠন বলছে, বিআইডব্লিউটিএ সাত হাজার কিমি: নৌপথ সচল করার দাবি করলেও তা হয়েছে কাগজে-কলমে। ৩৮ হাজার কিমি: নৌপথ আগেই সচল ছিল। বরং যথাযথভাবে খনন ও পলি অপসারণ না করায় অনেক নৌপথ পরিত্যক্ত হয়ে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ ও অধিকারকর্মীরা বলছেন, নদী খননের লক্ষ্যে গৃহীত মেগাপ্রকল্পগুলোর পেছনে সরকার পর্যাপ্ত অর্থ ব্যয় করছে। কিন্তু অপরিকল্পিত খনন ও পলি অপসারণের কারণে নৌপথের নাব্য উন্নয়নে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে ৫৩ নাগরিকের উদ্বেগ ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে দুর্নীতি কে প্রশয় দেয়া হবে না : জাতীয় নাগরিক কমিটি ফতুল্লা থেকে অপহৃত ২ শিশু বরিশাল থেকে উদ্ধার মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করা শিক্ষককে চাকরিচ্যুতের দাবি টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তি ট্রাম্প আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য দিবসে রিকের র‌্যালি ও মানববন্ধন অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সভাপতি হাসান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল চুয়েটে র‌্যাগিংয়ের দায়ে ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ঢাকায় উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার না করতে ডিএমপির নির্দেশনা তামিমের ঝড়ে জয় পেল চট্টগ্রাম তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা, কর্মকর্তা প্রত্যাহার

সকল