ট্রান্সকমের শীর্ষ ৩ জনকে দেশে ফেরার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ তিন নির্বাহীকে নির্বিঘেœ দেশে ফেরার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দেশে ফিরে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
ট্রান্সকম গ্রুপের এই তিন শীর্ষ কর্তা হলেন- গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান ও হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেন। রোববার বিচারপতি মো: খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ট্রান্সকম গ্রুপের তিন কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ। এর আগে গত ২২ মার্চ ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ তিন কর্মকর্তা যাতে নির্বিঘেœ দেশে ফিরে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এই আদেশ দেন।
হাইকোর্টের এক আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে ওই আদেশ সংশোধন করে চেম্বার আদালত এই আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদনটি করেন ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক। আর সিমিন রহমান হলেন লতিফুর রহমানের বড় মেয়ে। পরে তাদের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আইনজীবীদের তথ্যমতে, ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান, সিইও সিমিন রহমান ও হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেন দেশের বাইরে রয়েছেন। পৃথক মামলা থাকায় তারা যাতে দেশে ফিরে কোনো ধরনের বাধা ছাড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে তাদের পক্ষে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২০ মার্চ হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ এই তিন কর্মকর্তা যাতে কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া নির্বিঘেœ ৬০ দিনের মধ্যে আদালতের আত্মসমর্পণ করতে পারেন; সে বিষয়ে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি শাযরেহ হক বাদি হয়ে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করেন। এসব মামলায় কোম্পানির শেয়ার ও অর্থসম্পদ নিয়ে প্রতারণামূলক বিশ্বাস ভঙ্গ এবং জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। তিন মামলায় মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে।