সরকারকে পার্শ্ববর্তী দেশের প্রত্যেকটি আবদারই পূরণ করতে হয় : রিজভী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩১ মার্চ ২০২৪, ০২:০৯
পার্শ্ববর্তী দেশের প্রত্যেকটি আবদারই পূরণ করতে হয় শেখ হাসিনার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত চুক্তির পরেও বাংলাদেশীদের হত্যা করছে ভারতের বিএসএফ। প্রতিদিন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। কিন্তু শেখ হাসিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিবাদ তো দূরে থাক একটু মাথা উঁচু করে কথা বলতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী আপনি কি পেয়েছেন তাদের কাছ থেকে? সব দিয়েছেন কিন্তু ন্যায্য অধিকার তিস্তার পানি গঙ্গার পানি সেটাও আপনি পাননি। তারপরও এত নতজানু কেন?
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যুবদল ও ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভারতের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করতে পারেন না গলা তুলে কথা বলতে পারেন না। কিন্তু সাইফুল আলম নীরবরা কারাগারে থাকবে। যারাই আপনার গণতন্ত্রহীনতার বাকস্বাধীনতার এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলবে তাদের ঠিকানা হবে কারাগার। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী দেশ প্রতিনিয়ত ছোট করছে আমাদের উইপোকার সাথে তুলনা করছেন, প্রধানমন্ত্রী তার কোনো প্রতিবাদ করতে পারেন না। নিশ্চুপ থাকার কারণ শেখ হাসিনা একটি ডামি সরকার। তিনি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পান। জনগণের ভোটকে ভয় পান এই কারণেই তাকে একটি শক্ত খুঁটির সাথে বেঁধে থাকতে হয়। তার সেই শক্ত খুঁটি হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘এই শক্ত খুঁটির (ভারতের) কারণে তিনি বাংলাদেশের মানুষকে ত্যাজ্য করেছেন, ভোটারদের ত্যাজ্য করেছেন, গণতন্ত্রকে ত্যাজ্য করেছেন। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে ত্যাজ্য করেছেন। এক বেআইনি অবৈধ সরকার দেশের সব বিরোধীদল, সব গণতন্ত্রকামী মানুষকে কারাগারে ঢুকিয়ে রেখে তিনি সম্রাজ্ঞীর মতো দেশ শাসন করতে চাচ্ছেন। জনগণশূন্য, ভোটার শূন্য, গণতন্ত্র শূন্য একটি নির্দয় ফ্যাসিবাদী শাসন তিনি কায়েম করতে চান।
রিজভী আরো বলেন, ‘গোটা জাতির প্রতীক, যিনি এ দেশের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিজের জীবনকে বিপন্ন করে তিনি আজও বন্দী কোনো কারণ ছাড়া শুধু শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার কারণে। ওয়ান ইলেভেনের সরকারকে আপনি কি বলেছিলেন? আপনি বলেছিলেন আপনার আন্দোলনের ফসল সেই সরকার, আপনার নামে ১৫টি মামলা দিয়েছিল, ওই মামলাগুলো গেল কোথায়? সেই মামলাগুলো কি হাওয়া হয়ে উড়ে গেল? ওই মামলাগুলোতে যদি আপনার প্রত্যেকটিতে সাজা হতো, মিনিমাম ২০০ বছর হতো। কিন্তু আপনার ক্ষমতার কারণে আপনি আদালতের মালিক, প্রশাসনের মালিক, আপনি পুলিশের মালিক, আপনি কারাগারের মালিক, আপনি যখন যাকে ইচ্ছা তাকে আটকে রাখতে পারেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কথা তুলে ধরে রিজভী বলেন, একটা দুঃসহ পরিস্থিতি অতিক্রম করছি আমরা। গণতন্ত্রের প্রতীক, যিনি বার বার এ দেশের মানুষকে আলো দেখিয়েছেন, গণতন্ত্রের নিশানা দেখিয়েছেন স্বৈরাচারের অন্ধকার কোঠরির থেকে। সেই প্রিয় নেত্রী তিনি আজ বন্দী।
বিএনপির শক্তি শেষ হয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বিএনপির শক্তি শেষ হয়েছে গেছে কি না, এটা আপনি খুব ভালো করে জানেন। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করলেন তারপরও বিএনপির পথচলা এবং অগ্রযাত্রা রুখতে পেরেছেন?
ভারত ’৭১ সালের মতো আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ভারত ওবায়দুল কাদেরের পাশে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়েছে। ডামি নির্বাচন করে সুষ্ঠু নির্বাচনকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করেছেন। ভারত এ দেশের জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে দাঁড়ায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা