১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
আসামের মন্ত্রী নন্দিতা গোর্লোসা

বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ গভীর সম্পর্ক রয়েছে

-

ভারতের আসামে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানী গুয়াহাটির খানাপাড়ায় হোটেল বিভান্তে এই আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি ছিলেন আসাম সরকারের বিদ্যুৎ, ক্রীড়া, যুব এবং আদিবাসী ও উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী নন্দিতা গোর্লোসা।
অনুষ্ঠানে শুরুতে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। অতিথিদের স্বাগত জানান গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার ও মিশন প্রধান রুহুল আমিন এবং তার স্ত্রী ডা: নবনীতা হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মিসেস নন্দিতা গোর্লোসা বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ ভারত সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছে। যুদ্ধে বাংলাদেশের ৩০ লাখ শহীদের সাথে অনেক ভারতীয় সৈনিক নিহত হয়েছেন। ১৯৭১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সাথে ভারত সরকারের গভীর বন্ধুতপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় রয়েছে। বাংলাদেশের সাথে স্থলপথ, নৌপথে যোগাযোগ উন্নয়নে আগ্রহী। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসামসহ সেভেন সিস্টার রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সিলেট বিভাগের সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে সহকারী হাইকমিশনার রুহুল আমিন বলেন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের অন্তত এক কোটি মানুষকে তৎকালীন ভারত সরকার আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতা করেন। আসামে লাখ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। যুদ্ধে ভারত সরকার হাজার হাজার সৈন্যসহ সব কিছু দিয়ে সহযোগিতা করায় তিনি ভারত সরকার এবং তাদের জনগণের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে আসাম সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, শিল্পী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement