অবকাঠামো উন্নয়নে অদূরদর্শিতা ভোগান্তি বাড়াবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়নে দূরদর্শিতার অভাব এবং ভুলত্রুটির ছাপ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করেত না পারলে অনেক অবকাঠামো ভবিষ্যতে মানুষের ভোগান্তি বাড়াবে।
গতকাল রাজধানীর বারিধারার এসকর্ট প্যালেস বল রুমে চাইনিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি) ও নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর বিল্ডিং স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তারা এ কথা বলেন।
গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, ফ্লাইওভার কখনোই যানজটের সমাধান হতে পারে না। কারণ ফ্লাইওভার থেকে গাড়িগুলো রাস্তায় নেমে যানজটে পড়ে থাকতে হয়। ফলে যেকোনো শহরে যানজট কমাতে গণপরিবহনে গুরুত্ব দিতে হয়। ঢাকায় এখন মেট্রোরেলের যত যাত্রী চলছে তারা যদি প্রত্যেকে একটি গাড়ি বা অটোরিকশায় যাতায়াত করে তবে অনুমান করা যায়-রাস্তাটি স্থবির হয়ে থাকবে; হচ্ছেও তাই। তিনি বলেন, শহরের ভেতরে ফ্লাইওভার করে যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন অদূরদর্শিতা। কারণ থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ ফ্লাইওভার ভেঙে ফেলছে।
ড. শামসুল হক বলেন, উন্নয়নে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতাও রয়েছে। উচ্চতা কম থাকায় ঢাকার আশেপাশে নদীগুলোর ওপর নির্মিত ১৩টি ব্রিজ ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে টঙ্গীতে আবার ১০ লেনের ব্রিজ এবং রেল ব্রিজ একই উচ্চতায় করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর নিচ দিয়েও ক্রুজশিপসহ বড় জাহাজ বা ফেরি চলাচল বিঘিœত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মাহমুদ খান বলেন, আমাদের সবকিছু বিবেচনা নিয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা হয় না। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জনগণ কাক্সিক্ষত সেবা পায় না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাসিনা বারী চৌধুরী এমপি। আরো উপস্থিত ছিলেন, সিইএবির সভাপতি কি চ্যাংলিয়ান, সহসভাপতি ঝাং শিয়ালং, চায়না মিডিয়া গ্রুপের ঢাকা ব্যুরো চিফ ওয়াং জিয়ানবিং, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক স্থপতি সিরাজুল ইসলাম খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মাহবুব আলম, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল মামুন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসিনা বারী চৌধুরী সবাইকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে চীন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
সিইএবি-এর সভাপতি কি চ্যাংলিয়ান বলেন, বাংলাদেশ ও চীন এর বন্ধুত্ব অনেক দিনের। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে চীন ভূমিকা রাখছে।
সিইএবি মূলত চীনের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি প্লাটফর্ম। এই সংগঠনটি উন্নয়নে অংশীজন হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে জ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতির আদান-প্রদানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা