রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৮
- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
- ২৬ মার্চ ২০২৪, ০০:৪২
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় পুরনো দ্বন্দ্বের জেরে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত আটজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন,আকবর (২৪), তাজেল (৩৬), জয়নাল (৩৫), শামীম (২৫), মুক্তার হোসেন (৬০), নুর হোসেন (২৪), আরিফ (৯) ও রোমান (২০)।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, আহতরা শর্টগানের ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন। তবে তাদের আঘাত গুরুতর নয়।
এদিকে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কায়েতপাড়ায় রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমানের সাথে সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের দ্বন্দ্ব পুরনো। বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির পক্ষে জমি বেচাকেনার ব্যবসা নিয়ে প্রায় সময়ই তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত রোববার রাতে বাড়ি ফেরার পথে রফিকুল ইসলামের অনুসারী নাওড়ার বাসিন্দা নাজমুল নামে এক যুবককে পিটিয়ে আহত করে মোশারফের অনুসারীরা। এই ঘটনার জেরে গতকাল সোমবার সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষ এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
মোশারফ হোসেনের ছেলে নিরব হোসেন অভিযোগ করেন, সকালে তাদের বাড়ি ঘেরাও করে রফিকুল ইসলাম, তার ভাই মিজানুর রহমানসহ তাদের অনুসারী লোকজন। এ সময় শতাধিক সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তাদের গুলিতে আটজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মিজানুর রহমান বলেন, তিনি ঢাকায় আছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি কিংবা তার পরিচিত কেউ জড়িত নন বলে দাবি করেন তিনি। মিজানুর বলেন, আমি শুনেছি নাজমুল নামে একটা নিরীহ ছেলেকে রোববার রাতে মারধর করে টাকা-পয়সা রেখে দেয় মোশারফ ও তার লোকজন। এতে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সকালে গ্রামবাসীদের ওপর আবারো মোশারফের লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে শুনেছি। হামলায় গ্রামবাসীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এর বেশি কিছু ভাই আমি জানি না। আমি তো গ্রামে ছিলামই না।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘গ’ সার্কেল) আবির হোসেন,বলেন, ‘রোববার রাতে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে সোমবার সকালেও তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছে পুলিশ। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা