পুঁজিবাজারে সূচকের টানা পতন, বেড়েছে লেনদেন
- অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
- ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক কমেছে। সেই সাথে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া তিন কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।
শেয়ারবাজারে এমন টানা দরপতন দেখা দেয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন যে দরপতন হচ্ছে তাতে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কয়েক দিনের টানা উত্থানের কারণে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেশ বেড়ে গেছে। বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেয়ার চেষ্টা করছেন। এ কারণে বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে।
তবে দুপুর সাড়ে ১২টার পর লেনদেনে অংশ নেয়া বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। এ দাম কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। ফলে দিনের লেনদেন শেষ একদিকে দাম কমার পাল্লা বড় হয়, অন্য দিকে পতন হয় সবকটি মূল্যসূচকের।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৬টির। আর ১৭৪টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৪৮৯ পয়েন্টে নেমে গেছে। এর মাধ্যমে ৯ কার্যদিবস পর ডিএসইর প্রধান সূচক সাড়ে পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে নামল।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৩১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এ দিকে সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪৯৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় এক হাজার ৩০০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১৯৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ১১৯ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৯৪ কোটি ১০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সাইফ পাওয়ার টেক।
এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইস্টার্ন হাউজিং, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বিডিকম অনলাইন, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, ইউনিক হোটেল, শাহিনপুকুর সিরামিক এবং এডিএন টেলিকম।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৪টির এবং ৯৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ব্লক মার্কেট : প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মঙ্গলবার ৬১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ১২৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর দুই কোটি ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪১টি শেয়ার ১৪৩ বার হাত বদলের মাধ্যমে ১২৮ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকার সোনালি পেপারের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১১ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ফরচুনের।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা