২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞরা

প্রযুক্তির ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে

-

বাংলাদেশের উন্নয়নকে পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। তবে এ জন্য প্রযুক্তির ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। উন্নত বিশ্বের প্রযুক্তি বাংলাদেশে ব্যবহার বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে, এর পাশাপাশি নিজস্ব মডেল দাঁড় করাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনরা। তারা বলেন, উন্নয়নের জন্য আমাদের অনেক ভালো ভালো পরিকল্পনা রয়েছে। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, শতবর্ষের ডেল্টা পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্প রয়েছে। এ ছাড়া মুজিব ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রসপারিটি প্লান হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবায়নের সময় আমরা গতানুগতিক ধারায় এগোচ্ছি।
‘বিল্ডিং ব্যাক এ গ্রিন বাংলাদেশ’ শিরোনামে গতকাল আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেন। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সহায়তায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই আলোচনার আয়োজন করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই)। প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুরের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ম. তামিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমিরেটাস, অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, পরিবেশবিদ ড. আতিক রহমান, পিআরআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, এপেক্স ফুটওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর প্রমুখ। এতে মূল তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংক গ্রুপের জ্যেষ্ঠ পরিবেশবিদ ইউন জো ই।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন করছে, আরো করবে। এই উন্নয়ন যাতে ‘গ্রিন গ্রোথ’ হয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশবান্ধব হয় সেই প্রচেষ্টাও থাকতে হবে। বাংলাদেশ বিশ্বের চেয়ে খুব কম কার্বন তৈরি করছে এটি যেমন সত্যি, তেমনি ভবিষ্যতে কার্বন নিঃসরণ কমাতে উন্নত বিশ্বের অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাতে হবে।
ড. আতিউর রহমান বলেন, সবুজ প্রবৃদ্ধির জন্য সবুজ বিনিয়োগ প্রয়োজন। ইতোমধ্যে দেশে আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশবান্ধব কারখানা গড়ে উঠছে। তবে সবুজ প্রকল্পে বিনিয়োগ অনেকটি স্বল্পমেয়াদি। এ জন্য স্বল্প সুদের দীর্ঘমেয়াদি তহবিল গড়ে তুলতে হবে। তা ছাড়া সবুজ খাতে বিনিয়োগ নীতিমালা আরো সহজ করতে হবে।
অধ্যাপক ম তামিম বলেন, আমাদের গ্রিন গ্রোথের দিকে যেতে হবে। কিন্তু এই কার্যক্রমে প্রযুক্তি ব্যবহারের মডেল আমাদের সামনে নেই। কোরিয়ার মতো অনেক দেশ এ ক্ষেত্রে ভালো করছে, কিন্তু সেসব দেশের প্রযুক্তি আমাদের এখানকার উপযোগী কি না সেটিও দেখতে হবে। সবুজ উন্নয়নের জন্য নিজস্ব মডেল দাঁড় করাতে হবে।
ড. আইনুন নিশাত বলেন, উন্নয়নের জন্য আমাদের অনেক ভালো ভালো পরিকল্পনা রয়েছে। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, শতবর্ষের ডেল্টা পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্প রয়েছে। এ ছাড়া মুজিব ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রসপারিটি প্লান হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবায়নের সময় আমরা গতানুগতিক ধারায় এগোচ্ছি। ডেল্টা পরিকল্পনায় ৮০টি অ্যাকশন প্লান রয়েছে, যার একটিও নতুন নয়। তিনি বলেন, আমি অনেক সরকারি আমলাকে দেখেছি যারা এত ভালো একটি পরিকল্পনার পৃষ্ঠাও উল্টিয়ে দেখেনি। উন্নয়নে আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে, কিন্তু এই প্রযুক্তি ব্যবহারে সাবধান হতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement