১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে আসা ১৭০ টন পেঁয়াজ এখন বাজারে

-

ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের পর বিকল্প উৎস পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ এখন দেশের বাজারে প্রবেশ করেছে। ইতোমধ্যে ওই দুই দেশ থেকে ১৭০ টন পেঁয়াজ বোঝাই কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার পর নমুনা পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে খালাসের জন্য ছাড়পত্র ইস্যু করেছে উদ্ভিদ সঙ্ঘ নিরোধ কেন্দ্র।
কৃষিজাত পণ্য আমদানিতে উদ্ভিদ সঙ্ঘ নিরোধ কেন্দ্র থেকে আমদানি অনুমতিপত্র এবং বন্দরে পৌঁছার পর খালাসের জন্য ছাড়পত্র নিতে হয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর ইতোমধ্যে বিভিন্ন আমদানিকারকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ৩২৯টি আইপি (আমদানি অনুমতিপত্র) ইস্যু করেছে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর উদ্ভিদ সঙ্ঘ নিরোধ কেন্দ্র। এসব আইপির বিপরীতে ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৫৫ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। ভারতের বিকল্প বাজার হিসেবে চীন, মিয়ানমার, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিসর, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারত, ইউক্রেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খুলছেন।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্ঘ নিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, গত দুই দিনে ১৭০ টন পেঁয়াজের জন্য ছাড়পত্র ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে মিয়ানমার থেকে চট্টগ্রামের কায়েল এন্টারপ্রাইজের আমদানি করা দুই কনটেইনারে ৫৪ টন পেঁয়াজ খালাসে গত সোমবার এবং আমদানিকারক গ্রিন ট্রেড কর্তৃক পাকিস্তান থেকে আনা ৪ কনটেইনারে ১১৬ টন পেঁয়াজের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
এ দিকে চট্টগ্রাম বন্দর নৌ সীমায় প্রবেশ করা জাহাজে আরো কিছু পেঁয়াজ আসার তথ্য একটি সূত্র জানালেও উদ্ভিদ সঙ্ঘ নিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক জানান, এখন পর্যন্ত অন্য কোনো আমদানিকারক ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেনি।
ইতোমধ্যে খালাস হওয়া পেঁয়াজ ছাড়াও ঢাকার সজীব এন্টারপ্রাইজের নামে পাকিস্তান থেকে দুই কনটেইনারে ৫৯ টন এবং ইউএই থেকে এক কনটেইনারে ২৯ টন পেঁয়াজ বন্দরে পৌঁছেছে বলেও সূত্র জানায়।
এ দিকে পেঁয়াজের সঙ্কট মোকাবেলায় চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার পর দ্রুত খালাসের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম শুল্ক কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের আমদানি শুল্কায়ন গ্র“প-১ এ পেঁয়াজের চালান খালাসে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজগুলো এরই মধ্যে বন্দর থেকে খালাস নিয়ে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। এসব পেঁয়াজের গুণগত মান ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে ভালো বলেও সূত্র জানায়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো: ওমর ফারুক জানিয়েছেন, পেঁয়াজের সঙ্কট মোকাবেলায় বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা চালান দ্রুতসময়ে ডেলিভারি দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ শতভাগ প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি চালান দ্রুততম সময়ের মধ্যে খালাস হয়েছে বলেও তিনি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement