২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাদরাসা অধিদফতরের ডিজিসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

শিক্ষা মন্ত্রণালয়-প্রশাসন ক্যাডারে বিরোধ
-

মাদরাসা অধিদফতরের মহাপরিচালককে (অতিরিক্ত সচিব, পোস্টাল ক্যাডার) অন্যত্র বদলির দুই মাসেও তাকে রিলিজ দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন ডিজি (প্রশাসন ক্যাডারের) যোগদানের জন্য আবেদন করেছেন, সেটি গ্রহণ করা হচ্ছে না। এ নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরোধ চলছে। এর মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ, এমপিওভুক্তি এবং কেনাকাটায় মাদরাসা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) সফিউদ্দিন এবং তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে গত ২১ মে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়েছে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিবকে খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত মাদরাসা অধিদফতরের ডিজি সফিউদ্দিন, উপ-পরিচালক (অর্থ) মো: শামছুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক আব্দুল মুকিতের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ, এমপিওকরণসহ নানাবিধ অনিয়মের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ আসে। সেটি আমলে নিয়ে জনপ্রশাসনের শৃঙ্খলা শাখা থেকে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিবকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো: নূরুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, শত শত কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ করেছেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটিতে কাকে রাখা হয়েছে তা জানা যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিজি সফিউদ্দিন বলেন, অভিযোগটি পড়লেই বুঝতে পারবেন গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু। শুধু আমাকে না, মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে মন্ত্রীকে প্রচুর টাকা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রী আসামি হলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ ধরনের অভিযোগের ব্যাপারে সচিবকে তদন্ত করার নির্দেশ দিতে পারে না। কারণ, মন্ত্রী ইনভলব আছেন। মন্ত্রী জানলে তো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। এটি একটি সাজানো অভিযোগ। তিনি দাবি করেন, আমার অফিসে কোনো দুর্নীতি নেই।
জানা গেছে, মাদরাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, ও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে ডিজির প্রতিনিধি রাখা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাদরাসা অধিদফতরের সাথে বিরোধ চলছে প্রশাসন ক্যাডারের। মাদরাসার নিয়োগ কমিটিতে অধিদফতরের প্রতিনিধিকে বাদ দিয়ে ডিসি-ইউএনওর প্রতিনিধিরা থাকবেন এমন অর্ডার হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা বাতিল করে। এরপর প্রায় ৪০ জন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নানা যুক্তি তুলে ধরে তা পুনর্বহাল করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি দেন। এরপর থেকে দুই ক্যাডারের মধ্যে এক ধরনের বিরোধ চলছে।
জানা গেছে, গত ২৪ মার্চ মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিসিএস পোস্টাল ক্যাডারের কর্মকর্তা সফিউদ্দিন মাদরাসা অধিদফতরের ডিজির দায়িত্ব নেয়ার পর অধিদফতর দুর্নীতিতে ডুবতে বসেছে। তার সহযোগী হিসেবে আছেন উপ-পরিচালক শামছুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক আব্দুল মুকিত। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পোস্টিং বাগিয়ে নেয়া, নিয়োগ ও এমপিওকরণে সিন্ডিকেট গড়ে তোলা এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
৪৬তম বিএসএস প্রিলি পরীক্ষা : শুরুতেই স্বপ্নভঙ্গ ৮১ শিক্ষার্থীর মরুর উষ্ণতায় ক্ষতির মুখে কৃষি ছেলেদের কারণে বিপাকে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ফ্রান্স, ব্রাজিল ও প্যারাগুয়ে সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত এখনো শেষ হয়নি বিতর্কিত আউটের রেশ, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ মুশফিকের ‘ফ্রি ভিসার গল্প’ আর শূন্য হাতে ফেরা লাখো শ্রমিক নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের

সকল