বাংলাদেশী গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি মালিকদের সাথে নর্থ আমেরিকা ক্রেতা জোট ‘অ্যালায়েন্স’র এর ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রক্রিয়াকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রায়ে বলা হয়েছে, দেশীয় তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর ওপর আরোপিত শর্ত পূরণে নেয়া পদক্ষেপ সন্তোষজনক না হলে অ্যালায়েন্স ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেÑ এই প্রক্রিয়া অবৈধ। কোম্পানিগুলো নাগরিকের মতো মৌলিক অধিকার ভোগ করবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে গতকাল বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো: আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে ব্যবসায়ীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। কল কারখানা অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম।
রানা প্লাজা ধসের পরে বাংলাদেশে কাজ শুরু করে অ্যালায়েন্স। তাদের দেয়া শর্ত পূরণে নেয়া পদক্ষেপ সন্তোষজনক না হওয়ায় অ্যালায়েন্স অনেক কারখানার সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে। কোনো কোনো কারখানা মালিককে সতর্ক করে নোটিশ দেয়।
নোটিশ পেয়ে ২০১৭ সালের ১৮ জুন একটি কারখানা কর্তৃপক্ষ অ্যালায়েন্সের কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট বিভাগে রিট করে। ওই বছরের গত ৪ জুলাই আদালত রুল জারি করেন।
ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রানা প্লাজা ধসের পরে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে দু’টি জোট হয়। ইউরোপিয়ান ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড এবং উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স। তাদের কাজ ছিল পর্যবেক্ষণ করা এবং সরকার ও বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাথে কাজ করা। সেটা না করে তারা নিজেরাই ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করতে শুরু করে।
সেই কারণে এস্কেলেশন প্রটোকল চ্যালেঞ্জ (সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রক্রিয়া) করে ২০১৭ সালে একটি মামলা হয়। ওই মামলার শুনানি শেষে আজ আদালত রায় দিয়েছেন। রায়ে দু’টি নির্দেশনা এসেছেÑ বাংলাদেশি নাগরিকদের তৈরি কোনো কোম্পানি একজন নাগরিকের মতো সংবিধানের মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে এবং সরকারি অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশের কোনো কারখানার সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবে না। তবে অ্যালায়েন্স সরকার ও বিজিএমইএর সাথে বসে একটি বৈধ প্রটোকল তৈরি করতে পারবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা