১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

যশোর জেলা আ’লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে কোটি টাকার সম্পদ লুটের অভিযোগ

যশোর জেলা আ’লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে কোটি টাকার সম্পদ লুটের অভিযোগ - ছবি : নয়া দিগন্ত

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের মাধ্যমে কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর পশ্চিমপাড়ার আসাদুজ্জামান ও তার পরিবারের সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘গত ২৭ জুন দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, তার ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সামির ইসলাম পিয়াস ও তার বেয়াই নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে মাইক্রো, প্রাইভেটকার এবং মোটরসাইকেলযোগে আসা অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫০-২০০ জন তাদের বাড়িঘরে হামলা করে। তারা ওই সময় একটি এস্কেভেটর ও সাতটি ট্রলি নিয়ে আকস্মিকভাবে অনাধিকার প্রবেশ করে আসাদুজ্জামানের বাড়িতে। এরপর অস্ত্রের মুখে বাড়ির সকলকে জিম্মি করে প্রথমে আসাদুজ্জমানকে মারপিট করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর সন্ত্রাসীরা তার বড় ছেলে আরমান হোসেন ও ছোট ছেলে জাফরিকে মারপিট করে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে। এ সময় তার স্ত্রী ও ছেলের স্ত্রীরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারপিট করা হয়। একপর্যায়ে তারা ঘরে ঢুকে হকিস্টিক দিয়ে মালামাল ভাঙচুর করে ও লুটতরাজ চালায়। তারা ওয়্যারড্রোপ ভেঙে জমি বিক্রির নগদ ১০ লাখ টাকা, প্রায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ৩০ ভরি সোনার গহনা, চার লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের তিনটি গরু, ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ছয়টি ছাগল, নয় হাজার টাকা মূল্যের ছয়টি রাজহাঁস, পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের ১০টি মুরগি, ১২ হাজার টাকা মূল্যের ১৫টি পাতিহাঁস, এক লাখ টাকা মূল্যের ব্যাটারিসহ চারটি সোলার প্যানেল, ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ১০টি লেপতোষক, তিন লাখ টাকার ১৫০ সেফটি মেহগনির সাইজ কাঠ, দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ৬০ মণ গম, এক লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ৯০ মণ ধান, এক লাখ টাকা মূল্যের খৈল, এক লাখ টাকা মূল্যের ২৫ মণ তিল, ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি পানির মোটরসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে হামলাকারীরা।

ওই সময় এস্কেভেটর দিয়ে আট রুমের ছাদের ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দেয় তারা। যাওয়ার সময় ছয়টি ট্রলিতে করে লুটকৃত মালামাল নিয়ে যায়। হামলাকারীরা যখন বাড়িতে লুটপাট, ভাঙচুর চালায় তখন তাদের একটি অংশ অস্ত্র নিয়ে বাড়ির চতুরদিক ঘিরেছিল। কাজেই সাহায্যের জন্য এলাকার মানুষ ভয়ে এগিয়ে আসতে পারেনি। অবশ্য ঘটনার পর পুলিশ এসে জড়িতদের একটি এস্কেভেটর ও একটি ট্রলি জব্দ করে।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ১৯৯৩ সালে শিল্প ব্যাংক থেকে কেনা নিলামের জমিতে আসাদুজ্জামান ও তার পরিবারের সদস্যরা বসবাস করে আসছেন। ওই জমির বৈধ কাগজপত্র আসাদুজ্জমানের কাছে আছে। অথচ শহিদুল ইসলাম মিলন ওই সম্পত্তি তার বেয়াই নূরুল ইসলামের দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে জবর দখলের পাঁয়তারা করে আসছেন।


আরো সংবাদ



premium cement