২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩০, ২০ মহররম ১৪৪৬
`

চৌগাছায় ৪ মাস পর কবর থেকে যুবকের লাশ উত্তোলন

চৌগাছায় ৪ মাস পর কবর থেকে যুবকের লাশ উত্তোলন - ছবি : নয়া দিগন্ত

যশোরের চৌগাছায় মৃত্যুর চার মাস ১৫ দিন পর জাহিদুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে চৌগাছা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস উপস্থিত থেকে উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের হোগলডাঙ্গা গ্রামের ঘাটপাড়ায় কবর থেকে এ লাশ উত্তোলন করেন।

জাহিদুল ইসলাম উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের হোগলডাঙ্গা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি ইজিবাইকচালক ছিলেন।

জাহিদুল ইসলামের বড় ভাই হাবিবুর রহমান বলেন, ‘১১ বছর আগে আমার ছোট ভাই জাহিদুল ইসলাম মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রেম করে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার নড়িয়া গ্রামের মখলেছ ফরাজির মেয়ে ফারজানা খাতুনকে বিয়ে করে। বিয়ে পর থেকে সে শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করত। সেখানে জাহিদুল ইসলাম ইজিবাইক চালাত। মাঝে মাঝে বাড়িতে বেড়াতেও আসত।’

তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি মোবাইল ফোনে খবর পাই জাহিদুল ইসলাম মারা গেছে। আমরা সেখানে পৌঁছে দেখি তারা লাশ গোসল দিয়ে কাফনের কাপড় পরিয়ে বরফ দিয়ে কফিন করে রেখেছে। আমরা কফিন বাড়িতে এনে ২৭ জানুয়ারি জানাজা করে দাফন করি।’

জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফারজানা বলেন, ‘জাহিদুল ইসলামের সাথে আমার মোবাইলে পরিচয়, পরে আমরা বিয়ে করি। সুখে শান্তিতেই কাটছিল আমাদের সাংসারিক জীবন। ঘটনার দিন আমরা পরিবারের সকলেই রংপুর আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে যাই। জাহিদুল ইসলাম একা বাড়িতে ছিল। পরদিন সকালে পাড়া-প্রতিবেশীদের মোবাইলে খবর পাই জাহিদুল ইসলাম মারা গেছে। আমরা সেখান থেকে বাড়ি এসে জাহিদুল ইসলামের লাশ পাই। তখন সবাই বলে, জাহিদুল স্ট্রোক করে মারা গেছে। আমরা সরলমনে এটা বিশ্বাস করে জাহিদুলের লাশ গ্রামের বাড়ি যশোরের চৌগাছা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামে দাফন করি।’

তিনি বলেন, ‘লাশ দাফনের কিছুদিন পর আমরা জানতে পারি, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার বাংলাবাজার রুংশি গ্রামের শওকত হোসেনের স্ত্রী ফরিদা বেগম ও আব্দুল মজিদ জমাদ্দারের ছেলে ইসমাইল হোসেন এবং তাদের সহযোগীরা জাহিদুলকে হত্যা করেছে। এ কথা জানার পর আমি শরীয়তপুর আদালতে ওই দু’জনসহ অজ্ঞাত আরো দু’জনের নামে ৭ মার্চ মামলা দায়ের করি।’

মামলার পর নড়িয়া থানা পুলিশ আসামি ফরিদা বেগমকে আটক করে। ফরিদা বেগম পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। একপর্যায়ে আদালত লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের জন্য চৌগাছা থানা পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গুঞ্জন বিশ্বাসকে নির্দেশ দেন।


আরো সংবাদ



premium cement