শরণখোলায় নির্বাচনী সহিংসতায় উভয় পক্ষের আহত ১২

বাগেরহাটের শরণখোলায় নির্বাচনী সহিংসতায় প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার সুন্দরবন-সংলগ্ন শরণখোলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হচ্ছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি (আনারস) প্রতীকের প্রার্থী রায়হান উদ্দিন আকন শান্তর কর্মী টুলু তালুকদার, ইমরান উদ্দিন শুভ, খান মতিয়ার রহমান, আলমগীর শিকদার, ওবায়দুল আকন, ময়নুল ইসলাম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (দোয়াত কলম) প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান মিলনের কর্মী আসাদ কবিরাজ, মাসুম তালুকদার, শাহিন গাজী, মাহাবুব মোল্লা, মেহেদি হাসান, জলিল হাওলাদার।

এদের মধ্যে গুরুতর আহত আসাদ কবিরাজ, ওবায়দুল আকন ও খান মতিয়ার রহমানকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আনারস প্রতীকের প্রার্থী রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে তার কর্মী-সমর্থকরা শরণখোলা বাজারে একটি পথসভা করছিল। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রার্থী নিজে উপস্থিত থেকে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নির্বাচনী পথসভায় হামলা চালায়। ওই হামলায় তার ছয়জন কর্মী আহত হয়।

অন্যদিকে, দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, আগের হামলার শিকার তার দুই কর্মীকে দেখতে সন্ধ্যার পরে শরণখোলা বাজারে যান। সেখানে একটি সভা চলতে দেখে তিনি গিয়ে কিসের সভা চলছে বলে জানতে চান। এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি খান মতিয়ার রহমানকে দেখে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আনারস প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় তার ছয়জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজিত পরিবেশ সৃষ্টি হলে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মোরেলগঞ্জ সার্কেল) আসিকুর রহমান শরণখোলায় এসে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্থিত শান্ত করার চেষ্টা করেন।

শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান বলেন, কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান তিনি।