১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ঘূর্ণিঝড় রেমাল : খুলনায় আশ্রয়কেন্দ্রে ৮৫ হাজার মানুষ

ঘূর্ণিঝড় রেমাল : খুলনায় আশ্রয়কেন্দ্রে ৮৫ হাজার মানুষ - সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে খুলনা উপকূলে দমকা হাওয়া ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত জারির পর রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পাঁচটি উপজেলার সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে ৮৫ হাজার মানুষ।

ঘূর্ণিঝড়ে বেড়িবাঁধ রক্ষায় বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উপকূলের মানুষ। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা তাদের সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।

রোববার সকাল থেকে দাকোপ ও কয়রার ঝুঁকিপূর্ণ অংশ বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। অতিভাঙন প্রবণ এলাকায় বাঁশের বেড়া তৈরি করে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।

দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, ১০ নম্বর বিপৎসঙ্কেত ঘোষণার পরই মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য মাইকিং শুরু হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত উপজেলার ১৩০টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৯ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

চালনা মাসুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে।

খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন, খুলনার উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৮৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের শুকনা খাবারসহ আপদকালীন সাহায্য হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলায় এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ১০ টন চাল পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলায় নগদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত রয়েছে।
সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement