১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শৈলকুপায় সাংবাদিক মফিজুলের ওপর হামলা : প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দৈনিক লোকসমাজ ও নয়া দিগন্ত পত্রিকার সাংবাদিক মফিজুল ইসলামের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে শৈলকূপা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

সোমবার দুপুরে শৈলকূপার কবিরপুরে প্রেসক্লাব ভবনের সামনের সড়কে ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা জড়ো হতে থাকেন এবং ব্যানার হাতে পূর্ব ঘোষিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেন।

এ সময় সড়কে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ-মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে হামলাকারী দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার দাবি জানানো হয় এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারী দুর্বৃত্তচক্রদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনা না হলে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচিসহ সাংবাদিকরা কালোব্যাজ ধারণ, কলম বিরতি, অনশন ও থানা পুলিশের সমস্ত ইতিবাচক সংবাদ বয়কটের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভে প্রেসক্লাব সভাপতি শাহিন আক্তার পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মিল্টন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম. হাসান মুসা, গণমাধ্যম কর্মী তাজনুর রহমান ডাবলু, শিহাব মল্লিক, ওয়ালিউল্লাহ ওলি, মাসুদুজ্জামান লিটন, শামীম বিন সাত্তার, এনায়েত হোসেন, শহিদুজ্জামান বাবু, আব্দুল জব্বার, এম বুরহান উদ্দীন, আলীমুজ্জামান আলিম, চঞ্চল মাহমুদ, সম্রাট হোসেন, মেহেদী হাসান মিঠু, তুহিন জোয়ার্দ্দারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও মানববন্ধনে ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এম.এ কবির একাত্মতা প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, পেশাগত কাজে শনিবার দিবাগত রাতে শৈলকূপার লাঙ্গলবাঁধ যাওয়ার পথে বন্দেখালী এলাকা থেকে সাংবাদিক মফিজুল ইসলামের গতিরোধ করে একদল চিহ্নিত দুর্বৃত্ত অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্রসহ লাঠি-সোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর ও নির্যাতন চালায়। সাংবাদিক মফিজুল মাথা, চোখ, নাক,কানসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ সময় সাংবাদিকের মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লাঙ্গলবাধ ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে লাঙ্গলবাঁধ পুলিশ ক্যাম্পে নিরাপদে রাখে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সাংবাদিক মফিজুলকে পুলিশ বাড়ি পৌঁছে দেয়, এরপর তিনি শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন ও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত ও এজাহার গ্রহণসহ হামলাকারীদের মধ্যে চিহ্নিত দুর্বৃত্ত মোফাজ্জল হোসেন ওরফে মোফাকে রোববার দিবাগত রাতে গ্রেফতার করে। এখনো চার আসামির মধ্যে পারভেজ মুন্সি, কাঞ্চন মন্ডল ও লাভলু শেখ এখনো গ্রেফতার হয়নি। মামলায় আরো অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে।

সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা হুমকি অব্যহত রেখেছে, এতে পরিবারসহ তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শৈলকূপা থানার এসআই লালটুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় এরই মধ্যে মোফাজ্জেল হোসেন ওরফে মোফা নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

দ্রুতই সকল আসামিদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে ৫৩ নাগরিকের উদ্বেগ ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে দুর্নীতি কে প্রশয় দেয়া হবে না : জাতীয় নাগরিক কমিটি ফতুল্লা থেকে অপহৃত ২ শিশু বরিশাল থেকে উদ্ধার মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করা শিক্ষককে চাকরিচ্যুতের দাবি টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তি ট্রাম্প আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য দিবসে রিকের র‌্যালি ও মানববন্ধন অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সভাপতি হাসান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল চুয়েটে র‌্যাগিংয়ের দায়ে ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ঢাকায় উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার না করতে ডিএমপির নির্দেশনা তামিমের ঝড়ে জয় পেল চট্টগ্রাম তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা, কর্মকর্তা প্রত্যাহার

সকল