জোর করে বন্ধুরা মদ পান করায় বন্ধুরা, ঈদের দিনে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫২, আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৮
চুয়াডাঙ্গায় জোর করে বন্ধুরা মদ পান করানো হামিম (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে । ঈদের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া গ্রামের দক্ষিনপাড়ার মহিবুলের ছেলে। নিহত হামিম,দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এদিকে হামিমের মৃত্যুর পর সজনেরা সদর হাসপাতাল থেকে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে খবর পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যার পর পুলিশ স্কুলছাত্র হামিমের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
হামিমের নানা মিনাজ উদ্দিন বলেন, গত ৮ এপ্রিল সোমবার রাতে ৭/৮ বন্ধু মিলে হামিমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় দোকান থেকে চানাচুর কিনে আরাফাত হোসেন স্মরণী বিদ্যালয়ের পাশে একটি মাঠে সবাই মিলে মদ্পান করে। এ সময় জোরপূর্বক হামিমকে তিন বোতল মদপান করালে সে অসুস্থ হয়ে যায় । একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তার বন্ধুরা হামিম মারা গেছে ভেবে তাকে মাঠে ফেলেই চলে যায়। এরপর আমরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও না পেলে ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার সকালে এলাকার এক কৃষক হামিমকে অচেতন অবস্থায় ওই ইস্কুল মাঠে দেখতে পেয়ে ভ্যানে করে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে আমরা গ্রামের এক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা দেই পরে অবস্থার অবনতি হয়। পরদিন বুধবার ভোরে হামিমকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ঈদের দিন সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার নাতি মারা যায়।
মিনাজ উদ্দিন আরো বলেন, আমার নাতি আজ পর্যন্ত ধুমপান পর্যন্ত করেনি। তাকে জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে মদপান করায় তার বন্ধুরা। হামিমের কাছে নগত সাত হাজার টাকা ছিল। টাকাগুলো নিয়ে নিয়েছে। তার মোবাইলটিও ভাঙ্গা অবস্থায় পাওয়া যায়। আমার নাতিকে হত্যা করা হয়েছে।
তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং (ইউপি) সদস্য মো. শমসের আলী বলেন, হামিমসহ ৭/৮ জন বন্ধু মিলে মদ কিনে একসঙ্গে পান করে। অতিরিক্ত মদপানে হামিম অচেতন পড়লে তাকে রেখে সবাই চলে যায়। পরদিন সকালে স্থানীয়রা হামিমকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। ঈদের দিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা