১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

খুলনার সালাম জুট মিলে শত কোটি টাকার ক্ষতি, ছিল না অগ্নিনির্বাপনের ব্যবস্থা

খুলনার সালাম জুট মিলে শত কোটি টাকার ক্ষতি, ছিল না অগ্নিনির্বাপনের ব্যবস্থা - ছবি : সংগৃহীত

খুলনার রূপসা উপজেলার জাবুসা চৌরাস্তাসংলগ্ন সালাম জুট মিলসের গুদামের আগুনে প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে মিল কর্তৃপক্ষ।

তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা যাচ্ছে না বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (খুলনা) ফারুক হোসেন শিকদার।

ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট ও নৌবাহিনীর দুটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় প্রায় ৮ ঘণ্টা পর বুধবার (৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে জাবুসা চৌরাস্তা মোড় এলাকায় অবস্থিত সালাম জুটমিলের ৩ নম্বর গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়।

প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বশির আহম্মেদ জানান, ৩ নম্বর গুদামে অবস্থিত একটি মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। অল্প সময়ের মধ্যে ১ ও ২ নম্বর গুদামেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

তবে সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (খুলনা) ফারুক হোসেন শিকদার বলেন, আগুনের কারণ জানা এখনো জানা যায়নি। তবে কারখানায় আগুন নির্বাপণের কোনো ব্যবস্থাও ছিল না।

জুট মিলের স্বত্বাধিকারী এম এম এ সালাম বলেন, আগুনে প্রায় ৭৫০ টন রফতানি উপযোগী পাটজাত পণ্য, প্রায় ৩৫ হাজার মণ কাঁচা পাট এবং মিলের যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সে তার ৫০ কোটি টাকার ইন্স্যুরেন্স করা ছিল।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ফারুক হোসেন শিকদার বলেন, খুলনার বয়রা, রূপসা ও বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা থেকে ১৬টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। এর সাথে নৌবাহিনীর দুটি ইউনিট, স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর জন্য কাজ করেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ডাম্পিং কাজ শুরু হয়েছে। সামনে ও পেছনে দুটি গুদাম রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

শ্রমিকরা জানান, মিলটিতে প্রায় ৪০০ শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত। ঈদের আগে আগুন লাগায় তাদের বেতন-বোনাস নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এবং দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। সূত্র : ইউএনবি

 


আরো সংবাদ



premium cement