১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মণিরামপুরে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা তদন্তে গিয়ে তোপের মুখে ২ শিক্ষা কর্মকর্তা

মণিরামপুরে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা তদন্তে গিয়ে তোপের মুখে ২ শিক্ষা কর্মকর্তা - প্রতীকী ছবি

যশোরের মণিরামপুরে কলেজছাত্রী সাবিনা আত্মহত্যার তদন্ত করতে গিয়ে তদন্তকারী দু’কর্মকর্তা জেলা শিক্ষা অফিসার মাহাফুজুল হোসেন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বিক্ষুদ্ধ জনতার তোপের মুখে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তারা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে গেলেও ক্ষুদ্ধ জনতা কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিমকে জুতাপিটাসহ বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে জেলা শিক্ষা অফিসার মাহাফুজুল হোসেন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার সরেজমিন গোপাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তদন্তকারী এই দুই কর্মকর্তা কলেজের শিক্ষকদের সাথে কথাবলার একপর্যায়ের দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলেজছাত্রী সাবিনার স্বজনসহ এলাকার বিক্ষুদ্ধ জনতা কলেজে হামলা করে। এ সময় তদন্তকারী কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিমকে জুতাপিটাসহ বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। একপর্যায়ে পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন জেলা শিক্ষা অফিসার মাহাফুজুল হোসেন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করলে অবস্থা আরো খারাপ হতো।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এক প্রকার বলা যায় যে পুলিশের সহযোগিতা নিয়েই আমরা দু’জন অফিসার ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।’

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার মাহাফুজুল হোসেনও সাংবাদিকদের একই কথা জানান।

জানা গেছে, যশোরের মণিরামপুরের গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৩০ মার্চ দ্বাদশ শ্রেণীর ইংরেজি পরীক্ষায় নকল ও খাতা কেড়ে নিয়ে হল থেকে বের করে দেয়ার পর চিরকুট লিখে সাবিনা নামের এক শিক্ষার্থী বাড়িতে ঘরের মধ্যে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার পর বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে ওই এলাকার অভিভাবকসহ সাধারণ জনগণ। এ ঘটনায় তদন্তের জন্য যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার মাহাফুজুল হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয় উপ-পরিচালক, খুলনা অঞ্চল থেকে। শিক্ষার্থী সাবিনা উপজেলার পাড়িয়ালী গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে।


আরো সংবাদ



premium cement