তাপপ্রবাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

তাপপ্রবাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। এ জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরণের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ৩টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমের মধ্যে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।

এদিকে, তীব্র রোদ আর গরমে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এই গরমে রোজাদার ব্যক্তিরাও কষ্টে আছেন। বাইরে, রাস্তাঘাটে ও বাজারে লোকজনের চলাচল খুবই কম। এছাড়া রোজা থেকে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রোববার (৩১ মার্চ) ভোরে এ জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হয়। তারপরও তাপমাত্রা কমেনি। ক্রমেই তাপমাত্রার পারদ উপরে উঠছে।
সোমবার দুপুর ১২টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা তিনটায় তা আরো বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরণের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্থিতি এমনই থাকবে। এর মাঝে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে। আপাতত বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড়ের বিষয়ে আগে থেকে বোঝা যায় না। দুই-এক ঘণ্টা আগে ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যায়।

চুয়াডাঙ্গা আন্তঃজেলা চলাচলকারী একটি বাসের চালক জাকির হোসেন জানান, যাত্রী খুবই কম এই গরমে মানুষ খুব একটা বাইরে বের হচ্ছে না। অন্যদিনের তুলনায় কম যাত্রী নিয়ে ট্রিপে যেতে হচ্ছে। এতে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

চুয়াডাঙ্গা শহরের এক রিকশাচালক ঝন্টু মিয়া বৃদ্ধ বলেন, ‘কী আর বলব, এই রোদ-গরমে রোজা থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আবার বসেও থাকতে পারছি না। বসে থাকলে পেটে ভাত জুটবে না।’

এদিকে, বাইরে রোদের তীব্র তাপ, একইসাথে গরমে মানুষ এক প্রকার গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। বাইরে না বেরিয়ে ঘরে অবস্থান করে ফ্যানের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে নিম্ন আয়ের দিনমজুর ও শ্রমিকশ্রেণির মানুষের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। তারা এই তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বাইরে অবস্থান করছেন।