১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


ইবি শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগকর্মীদের মারধরের অভিযোগ

ইবি শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগকর্মীদের মারধরের অভিযোগ। - ফাইল ছবি

বাসে উঠা নিয়ে বাকবিতাণ্ডার জেরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী রিয়াদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ইবি ক্যাম্পাসের জিয়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

রিয়াদ হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম, কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নাবিল আহমেদ ইমন, সিয়াম, বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম তরুণ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মিন্টু হোসাইন ও ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সৌমিক। অভিযুক্তরা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী। এছাড়া নাবিল আহমেদ ইমন সাধারণ সম্পাদকের ভাই।

ভুক্তভোগী রিয়াদ জানায়, কুষ্টিয়া থেকে টিউশন শেষে ক্যাম্পাসের বাসে ওঠার সময় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সামিউলের সাথে বাকবিতাণ্ডা হয় তার। এ সময় সামিউল ও তার সহযোগীরা রিয়াদকে ইবি ক্যাম্পাসে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। পরে জিয়া মোড়ে পৌঁছালে গাড়ি থেকে নেমেই রিয়াদের শার্টের কলার ধরে টেনে নিয়ে যায় সামিউল। এ সময় প্রায় ১০ জন মিলে তাকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করেন। রিয়াদের বন্ধুরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে গেলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযুক্ত সামিউল বলেন, রিয়াদ প্রথমে বাসেই আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন। পরে ক্যাম্পাসে নেমে তার সাথে কথা বলতে চাইলে সে কথা বলতে রাজি হয়নি। পরে সে প্রথমে আমাকে আঘাত করলে তার সাথে হাতাহাতি হয়।

অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম তরুণ বলেন, ‘বাসে প্রচন্ড ভিড় ঠেলে সে তার সিটে যাচ্ছিল। এতে আমরা জিজ্ঞেস করি যে এত দেরিতে কেন উঠছেন। পরে বাস থেকে নেমে জিজ্ঞেস করতে গেলে সে এমন একটা ভাব নেয় যে, সে আমাদের চেনেন না। ওই সময় একটু ধাক্কাধাক্কি হয়।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ‘আমি যতটুকু শুনেছি বাসে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, পরে ওই ছেলেই আমার ছোটভাইদের মেরেছে।’


আরো সংবাদ



premium cement

সকল