১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


খুলনা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ২ প্যানেলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

খুলনা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে ২ প্যানেলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ - ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন রোববার খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। ইতোমধ্যে ওই নির্বাচন নিয়ে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছে খুলনা আইনজীবী সমিতির ‍দু’টি প্যানেল। এ সংবাদ সম্মেলনে দুটি প্যানেলই একে অপরের দিকে অভিযোগের তীর ছুঁড়েছে। খোকন-শহিদ পরিষদ সংবাদ সম্মেলন করে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। অপরদিকে সাইফুল ও তার পরিষদ প্রতিপক্ষের দাবিকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা দাবি করেছে।

আইনজীবী সমিতির বাইরের রাস্তায় সংবাদ সম্মেলন করে খোকন ও শহিদ পরিষদ। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল বারী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আইনজীবী সমিতি প্রতি বছর নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর, আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পূর্বসূরীরা সমিতির গঠনতন্ত্রে নির্বাচনের কিছু আচারণবিধি যুক্ত করে গেছেন; যা লঙ্ঘন করলে প্রার্থীতা বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।’

সেখানে বলা আছে, ‘কোনো আইনজীবীর বাড়িতে বা সমিতি ভবনের বাইরে কারো চেম্বারে ভোট প্রার্থনা করতে যাওয়া যাবে না। কোনো পোস্টার বা বিলবোর্ড প্রদর্শন করা যাবে না। আইনজীবী ব্যতীত কেউ অতিথি হিসেবে প্রজেকশন মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে পারবে না। সমিতির মধ্যে বা বাইরের কোনো প্রার্থী উপঢৌকন দিতে পারবে না। কোনো দলীয় বা গোষ্ঠীর নামে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো অনুষ্ঠান বা সভা আহ্বান করা যাবে না।’

‘কিন্তু আইনজীবী সমিতি ২০২৩ এর বার্ষিক নির্বাচন উপলক্ষ্যে বর্তমান সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তারিক মোহাম্মাদ নিজেদের ইচ্ছা মতো মো: লিয়াকত আলী মোল্লাকে চেয়ারম্যান নিযুক্ত করে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তারা সমগ্র আদালত চত্বরে বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও গেটসহ সমিতির নির্বাচনকে ট্রেড ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সভাপতির চেম্বার থেকে মূল্যবান স্যুটপিস ও নগদ টাকা সবার সামনেই বিলি করা হচ্ছে।’ অভিযোগ করেছেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল বারী।

অপরদিকে দুপুর পৌনে ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেন বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতিপ্রার্থী মো: সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আইনজীবী সমিতি একটি পেশাজীবী সংগঠন। এখানে কোনো কারচুপি হয় না। নির্বাচনে পরাজয় জেনে তারা কুৎসা রটনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিপক্ষ পরিষদ আইনজীবীদের সম্মান নিয়ে খেলা করছেন।’

তিনি বলেন, ‘জোয়ার্দ্দার খোকন-শহিদুল পরিষদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন, যা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন মামলার আসামিদের নিয়ে গভীর রাত অবধি সমিতিতে প্রচার কাজে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। তারপরও আমরা চাই একটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক।’

তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিপক্ষ পরিষদ সংবাদ সম্মেলন করে সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন। প্রতিপক্ষ আমাদের দোষত্রুটি বের করছেন। তারা গত ২২ ও ২৩ নভেম্বর দুটি প্যানেল পরিচিত সভা করেছেন, যা আচরণবিধি পরিপন্থি। এছাড়া উপঢৌকনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা মিথ্যা ও অমূলক। পরাজয় নিশ্চিত জেনে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।’


আরো সংবাদ



premium cement