১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী সহিংসতায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত ৫

চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী সহিংসতায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত ৫ - ছবি : নয়া দিগন্ত

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পৃথক ঘটনায় দুই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া নির্বাচনী অফিস ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায় দুইপক্ষের উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকেরা।
রোববার দিবাগত রাত ১০টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই উপজেলার কুমারী ও ডাউকি ইউনিয়নে এই সহিংসতার ঘটনাগুলো ঘটে। তবে রাতেই সংঘর্ষে জড়িত থাকার অপরাধে কুমারী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষের সেলিম (২৫) ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষের সমর্থক হিরণকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে এই দুটি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ ঘটনায় ডাউকি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হোসাইন বলেন, আমার ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পোয়ামারি গ্রামে আমার একটি অফিস ভাংচুর করেছে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী তরিকুল ইসলামের লোকজন। তারা আমার কর্মী আলী হোসেনকে মারধরসহ তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মিনি খাতুনকে মেরে আহত করে।

একই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'এটা বিএনপি নাকি জামায়াতের অফিস তা কেউ জানে না। একটু ধাক্কাধাক্কিতে ভেঙে গেছে। তবে কাউকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি।’

অন্যদিকে, কুমারী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হক অভিযোগ করে বলেন, পথসভা শেষ করে আমার নির্বাচনী অফিসে আসি। এ সময় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাইদ পিন্টুর কর্মীরা হঠাৎ আমার অফিসে ভাংচুর চালায়। তারা আমার কর্মীর মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেই ও পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন লাগায়। এছাড়া আয়ুব আলী নামে আমার এক কর্মীকেও মারধর করে।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে একই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু বলেন, আমার কর্মীরা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস ভাঙচুর করেনি। উল্টো তারাই আমার একটি অফিস ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে এবং তারা রিপন ও লাভলু নামের আমার দুই কর্মীকে মারধর করেছে।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, কুমারী ইউনিয়নে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী কাছে দুজনের আহতের কথা জেনেছি। এছাড়া স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর একটি মোটরসাইকেল কে বা কারা পুড়িয়ে দিয়েছে। সেটার খোঁজ করছি। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের দুজনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ডাউকি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস ভাংচুরের খবর পেয়েছি। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার পর আমি দুটি ইউনিয়নেই পুলিশি টহল জোরদার করেছি।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল