২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় কোরবানির চামড়া অবিক্রি

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় কোরবানির চামড়া অবিক্রি -

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় কোরবানির ছাগলের চামড়া ২০ টাকা আর গরুর চামড়া ২০০ টাকা। এত কম দামে চামড়া বিক্রি হলেও তবুও ক্রেতার দেখা মিলছে না। নামমাত্র দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা। চামড়ার দাম কম থাকায় এতিমখানা ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ নিজেরাই লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করছেন বেশি দামে বিক্রির আশায়। ফলে চামড়ার আড়তগুলোতে চামড়া কম আসছে। এ বছর চামড়া ব্যাবসায়ীদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করছে তারা।

জানা যায়, কোরবানির ঈদে জেলায় ৯০ হাজার থেকে এক লাখ পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত ছিল। করোনা ভাইরাসের কারণে সাধারণ মানুষ কম কোরবানি দিয়েছেন এবার। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার চামড়ার দাম একেবারেই কম। একটি ছাগলের চামড়া আকার ভেদে ২০ টাকা আর গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা চামড়া বিক্রেতারা বলছেন, আড়তে নিয়ে চামড়া বিক্রি করলে গাড়ি ভাড়ার টাকা উঠছে না। তাই চামড়া বিক্রির জন্য না নিয়ে ফেলে দিলেই ভাল হত। এতিমখানা ও মাদরাসাগুলো চামড়ার দাম ভাল না পাওয়ায় নিজেরাই লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করছেন বেশি দামে বিক্রির আশায়। চামড়া নিয়ে সবাই কষ্টের মধ্যে রয়েছে। এ যেন এখন গলার কাটা।

দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দাস পাড়ার চামড়া আড়তদার বাবলুসহ অনেকেই জানান, ট্যানারিতে দেয়া গত বছরের চামড়ার টাকা এখনও ট্যানারি মালিকরা দেয়নি। এ বছর ধার দিনা করে চামড়া কিনেছি। কি হবে জানি না। লেবার খরচ অনেক বেশি। গরুর একটি চামড়া আকার ভেদে ২ শ’ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে ক্রয় করেছি।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাদরাসা ও লিল্লাবোডিং (এতিম খানা) কর্তৃপক্ষরা জানান, কোরবানির ঈদে আমরা প্রচুর চামড়া পেয়ে থাকি। ওই সব চামড়া বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানের অনেক কাজ করা হয়। কিন্তু এ বছর চামড়ার দামে আমরা হতাশ। এবার ছাগলের চামড়া মাত্র ২০ টাকা, আর প্রকার ভেদে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর চামড়া। তাই এবারের চামড়া বিক্রি না করে নিজেরাই লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করছি বেশি দামের আশায়। যদি নির্দিষ্ট সময় বিক্রি করতে না পারি তা হলে মাটিতে পুতে ফেলতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement