১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


নিজের বুদ্ধিমত্তায় প্রাণে বাঁচল শিশু তানজিলা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

নিজের বুদ্ধিমত্তায় পাচারকারীদের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের ১১ বছরে শিশু কন্যা তানজিলা আকতার। গত ১৯ আগস্ট (সোমবার) দুপুরে দেড়টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সড়কে। তানজিলা ওই গ্রামের বেলাল সিকদারের মেয়ে।

উপজেলার রাজৈর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী তানজিলা জানায়, ওই সময়ে স্কুল থেকে সে বাড়িতে যাবার পথে পরিষদ সংলগ্ন মঠেরপাড় সড়কের মোড়ে একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাস এসে তার পাশে দাড়ায়। জনশূন্য ওই সড়কে গাড়ির দরজা খুলে পাচারকারীরা তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নাকের কাছে একটি রুমাল ধরার পর তানজিলা অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

পরে যখন তার জ্ঞান ফেরে, তখন তানজিলা নিজেকে একটি ঘরের তালাবদ্ধ রুমে আবিষ্কার করে। সেখানে আরো একটি শিশু অজ্ঞান অবস্থায় ওই রুমে পড়ে থাকতে দেখেছে সে। পাচারকারী দলের কেউ সেখানে নেই নিশ্চিত হয়ে তানজিলা রুমের জানালা ভেঙ্গে বাগানের মধ্য দিয়ে শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জ সড়কের গাজীর ব্রীজ এলাকার মূল সড়কে উঠে ভ্যানযোগে চলে আসে। ওই রুমে থাকা অপর শিশুটির ভাগ্যে কি হয়েছে, তা সে বলতে পারেনি।

এদিকে, তানজিলার মা রিনা বেগম জানান, স্কুল থেকে টিফিনের সময় বাড়িতে ফিরতে দেরী হওয়ায় তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন এবং ওই দিন সন্ধ্যার কিছু পুর্বে তানজিলা ফিরে আসায় পরিবারে মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। পরে সংশ্লিষ্ট খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খাঁন ও পরিবারে কাছে তানজিলা ঘটনার বর্ননা করে।

তানজিলা জানায়, ওই এলাকায় তাকে নিয়ে গেলে ওই বাড়ির লোকেশন সে দেখাতে পারবে।

ভ্যানচালক আমড়াগাছিয়া গ্রামের সালাম ফকির মুঠোফোনে জানান, বিকাল ৫টার দিকে শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ মহাসড়কের গাজীর ব্রিজ এলাকায় স্কুল ড্রেস পরিহিত ওই মেয়েটিকে কাঁদতে দেখে তিনি নিয়ে আসেন।

শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার সরকার জানান, ঘটনাটি তিনি জেনেছেন। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল