১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচির ঘোষণা ডব্লিউএইচওয়ের

- ছবি : সংগৃহীত

কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে জাতিসঙ্ঘের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত অঙ্গ সংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। পানিবাহিত এই রোগটিকে নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা এবং নিয়মিত নজরদারি ও কলেরা টেস্টবিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তারা বড় আকারের টেস্ট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

ডব্লিউএইচওয়ের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় চার লাখ ৭৩ হাজার জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০২৩ সালে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখে। চলতি বছর এই সংখ্যা আরো বৃদ্ধির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘গত দু’তিন বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমরা কলেরার অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্বেগজনক প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করছি। এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কলেরার বৈশ্বিক টেস্ট কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো কলেরা নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা এবং নিয়মিত নজরদারি ও কলেরা টেস্টবিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।’

বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন দেশে কলেরা টেস্টের সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে। প্রাথমিকভাবে মালাউই, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, জাম্বিয়াসহ মোট ১৪টি দেশে পাঠানো হবে।’

এ কর্মসূচিতে ডব্লিউএইচও’র অংশীদার হিসেবে রয়েছে আন্তর্জাতিক টিকা সহায়তা সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি), জাতিসঙ্ঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকারবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং কলেরা প্রতিরোধসংক্রান্ত বৈশ্বিক সংস্থা গ্লোবাল টাস্কফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোল।

উল্লেখ্য, দুষিত পানি ও খাবারের মধ্যে জন্মানো এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া কলেরার জন্য দায়ী। এ রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটে। এদের অধিকাংশই শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক।

সূত্র : ডব্লিউএইচও ওয়েবসাইট


আরো সংবাদ



premium cement