রাজধানীতে দেশী-বিদেশী চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা বিনিময়

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সাথে বিদেশী চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক চমৎকার উপলক্ষ এনে দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) ও তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশন। এতে ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের ৫০ জনের বেশি চিকিৎসক বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সাথে তাদের অভিজ্ঞতা, উদ্ভাবন ও নতুন নতুন গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংস্থা দুটির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘একবিংশ শতাব্দীতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি, গবেষণা ও উদ্ভাবন’-বিষয়ক সম্মেলন।

এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসাখাতে নতুন এক যুগের সূচনা হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এক সাথে এত বিদেশী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেশে আনাকেও প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সম্মেলনে অংশ নেয়া বাংলাদেশী চিকিৎসকরা। এমন আয়োজন ভবিষ্যতে বিদেশী চিকিৎসকদের সাথে সহযোগিতাযমূলক কাজের ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলেও মনে করেন তারা।

বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এসব চিকিৎসকরা এক সপ্তাহ বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। এ সময় তারা সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন বলেও সম্মেলনে জানান আয়োজকরা।

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ফিলিপ মিনাশে, প্রফেসর কুমারন দিভা, প্রফেসর মতিহাস কোয়েপ, প্রফেসর রনিট প্রেসলার এবং প্রফেসর ম্যাসিমিলিয়ানো সেরাফিনো।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এবং অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল।

সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্য জাহিদ মালেক, এমপি।

নিজ নিজ বক্তব্যে অতিথিরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও নতুন গবেষণার বিষয়ে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সাথে বিদেশীদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এমন সুযোগ করে দেয়ার জন্য বিপিএমসিএ এবং তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানান।

আয়োজন প্রসঙ্গে বিপিএমসিএ-এর প্রেসিডেন্ট ডা. এম এ মুবিন খান বলেন, ‘আমরা সবসময় চাই বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতের উন্নতি। দেশের চিকিৎসরা যেন দেশে বসেই উন্নত সব টেকনোলজি, গবেষণা ও উদ্ভাবন বিষয়ে জানতে পারে সেজন্যই আমাদের এই আয়োজন। ভবিষ্যতেও এরকম আয়োজন অব্যাহত থাকবে। পুরো আয়োজনে সহযোগিতার জন্য আমরা তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনের কাছে কৃতজ্ঞ।’

আয়োজনের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সবার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

দুঃস্থ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান অব্যাহত রাখা এবং চিকিৎসা খাতের উন্নয়নে ভূমিকার রাখার অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেন তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও প্রতিষ্ঠাতা সেলিনা বেগম।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি