চেলসিকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিল আর্সেনাল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৯
কেই হাভার্টজ ও বেন হোয়াইটের জোড়া গোলে চেলসিকে ৫-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছে আর্সেনাল। এই জয়ে লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটির উপর শিরোপা লড়াইয়ে চাপ আরো বাড়ালো আর্সেনাল।
আর্সেনালের হয়ে বাকি গোলটি করেছেন লিনড্রো ট্রোসার্ড। লিভারপুল থেকে তিন ও ম্যানচেস্টার সিটি থেকে চার পয়েন্ট এগিয়ে গেল গানার্সরা। এটা চেলসির বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বড় জয়। যদিও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিটির হাতে দুই ম্যাচ বেশি রয়েছে। আর্সেনালের থেকে লিভারপুলও এক ম্যাচ কম খেলেছে। তবে একটি দিক থেকে মিকেল আর্তেতার দল অন্য দুই দলের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে। গোল ব্যবধানে সিটি ও লিভারপুলের থেকে এগিয়ে রয়েছে আর্সেনাল। শিরোপা নির্ধারনে শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধান নির্ধারক হয়ে উঠতে পারে।
আর্তেতা বলেছেন, ‘আমরা সমর্থকদের দারুনভাবে গর্বিত করেছি। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় ডার্বি ছিল। আমি জানি এর অর্থ কতটা বড়। ম্যাচের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। কিন্তু আমরা সবগুলো সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। বেশ কিছু স্থানে আমরা কিছুটা ধীরে খেলেছি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা আরো বেশী সংঘবদ্ধ হয়ে খেলেছি। এ কারনেই সুযোগও বেশী এসেছে ।’
ম্যাচ শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খায় ব্লুজদের ডেঞ্জার ম্যান কোল পালমার খেলতে না পারায়। অসুস্থতার কারণে তিনি দল থেকে ছিটকে পড়লে চেলসি অনেকটাই মুষড়ে পড়ে। এবারের মৌসুমে চেলসির প্রায় ৫০ শতাংশ গোল হয় পালমার নিজে করেছেন অথবা এ্যাসিস্ট করেছেন। তার অনুপস্থিতি সফরকারীরা দারুণভাবে অনুভব করেছে।
মরিসিও পোচেত্তিনোর প্রথম মৌসুমে দল মোটেই সফল হতে পারেনি। শনিবার এফএ কাপের সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে পরাজিত হবার আগ পর্যন্ত চেলসি টানা আট ম্যাচে অপরাজিত ছিল। আর্সেনাল সর্বশেষ ঘরের মাঠের ম্যাচে এ্যান্টন ভিলার কাছে পরাজিত হয়ে কিছুটা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিতে ভুগছিল। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি চেলসি।
পোচেত্তিনো বলেছেন, ‘এই ধরনের ফলাফল মেনে নেয়া সত্যিই দারুণ কঠিন। কারন ম্যাচের শুরুর মতো শেষটা ভালো হয়নি। আজ আমরা প্রিমিয়ার লিগের লড়াই করার দলের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারিনি। ভিন্ন ভাবে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিৎ ছিল।’
এমিরেটস স্টেডিয়ামে ম্যাচের চার মিনিটেই এগিয়ে যায় আর্সেনাল। ২০২৩ সালের জনুয়ারিতে মিখাইলো মাড্রিককে দলে ভেড়ানোর লড়াইয়ে চেলসির কাছে হার মানে আর্সেনাল। কিন্তু বেলজিয়ান ট্রোসার্ডও যে আর্সেনালের জন্য সাফল্য এনে দিতে পারে তা এবার বেশ কিছু ম্যাচে তিনি প্রমাণ দিয়েছেন। পোস্টের খুব কাছে থেকে চেলসি গোলরক্ষক ডোরিয়ে পেট্রোভিচকে পরাস্ত করে ট্রোসার্ড আর্সেনালকে এগিয়ে দেন। মৌসুমে এটি তার ১৫তম গোল। প্রথম গোলের ভুলের মাশুল দুটি দারুণ সেভ করে ভালভাবেই দিয়েছেন পেট্রোভিচ। হাভার্টজের লো শট ও ট্রোসার্ডের ডিফ্লেকটেড শট বিরতির আগে পেট্রোভিচ রক্ষা করলে কার্যত রক্ষা পায় চেলসি।
বিরতির পরপর ডিক্লান রাইস ও হাভার্টজের শট রুখে দেন এই সার্বিয়ান গোলরক্ষক। কিন্তু ৫২ মিনিটে আর শেষ রক্ষা হয়নি। হোয়াইটের কার্লিং শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আর্সেনাল। দুই বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে হাভার্টজের একমাত্র গোলে শিরোপা নিশ্চিত হয়েছিল চেলসির। পশ্চিম লন্ডনে তিন বছরের মেয়াদে যে ধরনের পারফরমেন্স হাভার্টজ করেছিল তা আর্তেতার অধীনে প্রমানে ব্যর্থ হয়েছেন। মার্টিন ওডেগার্ডের থ্রু বলে দারুণ ফিনিশিংয়ে হাভার্টজ বল জালে জড়ান। ৬৫ মিনিটে বুকায়ো সাকার পাসে নিজের দ্বিতীয় গোল পূর্ণ করেন জার্মান এই তারকা। এ নিয়ে শেষ ১৪ ম্যাচে তিনি সপ্তম গোল করলেন। পাঁচ মিনিট পর ওডেগার্ডের আরো একটি দারুণ পাস থেকে হোয়াইট লো শটে বল জালে জড়ালে বড় জয় নিশ্চিত হয় আর্সেনালের।
এই পরাজয়ে চেলসি এখনো টেবিলের নবম স্থানেই রয়েছে। ইউরোপিয়ান পজিশন থেকে এখনো তারা তিন পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে।
রোববার পরের ম্যাচে লন্ডন ডার্বিতে আর্সেনালের প্রতিপক্ষ টটেনহ্যাম। শিরোপা নির্ধারণে বাকি থাকা ছয় ম্যাচে নিজেদের কাজটুকু অন্তত সেরে রাখতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা