উখিয়ায় পাহাড়ি এলাকায় র্যাব সন্ত্রাসী গোলাগুলি
- কক্সবাজার অফিস
- ১২ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
কক্সবাজারের উখিয়ায় ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন মোছারখোলা পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলিসহ আরসার পাঁচ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, ব্যাটালিয়নটির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
আটক ব্যক্তিরা উখিয়া ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৩ ব্লকের মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো: নেছার (৩০), একই ক্যাম্পের এইচ-৭ ব্লকের আব্দুল জব্বারের ছেলে রবি আলম (১৮), এইচ-১২ ব্লকের মো: শাকের আহমেদের ছেলে মো: আবুল কালাম (২৮), এইচ-৫ ব্লকের মো: বাশারের ছেলে মো: আইয়ুব (২২) এবং কুতুপালং ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২৫ ব্লকে বসবাসকারি স্থানীয় বাংলাদেশী নাগরিক আব্দুর রহমানের ছেলে আবুল হোসেন (২০)।
লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সম্প্রতি উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অপতৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েছে। এর প্রেক্ষিতে র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি ও অভিযান জোরদার করেছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে উখিয়ার ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় একদল আরসার সদস্য বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্রসহ নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে এমন খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরসা সন্ত্রাসীরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়ে। একপর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া দিয়ে আরসার পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়। পরে সন্ত্রাসীদের আস্তানা তল্লাশি করে দেশীয় তৈরি বিভিন্ন ধরনের ৬টি বন্দুক ও ৯টি গুলি পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তারা সবাই আরসার সক্রিয় সদস্য। তাদের মধ্যে বাংলাদেশী নাগরিক আবুল হোসেন আরসার সহযোগী হিসেবে কাজ করত। তারা খুন, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা