১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
বাজার দর

টানা বৃষ্টিতে আরেক দফা বেড়েছে সবজির দাম

-

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই টানা কয়েক দিন ধরে চলছে বৃষ্টি। আর এর প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। বেশ কিছু দিন ধরে বাড়তি দামে বিক্রি হওয়া সবজির দাম আরেক দফা বেড়েছে। বাজারে বেশির ভাগ সবজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি। সবজির সঙ্গে নতুন করে দাম বাড়ার দৌড়ে রয়েছে কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ। কাঁচামরিচের কেজি দাঁড়িয়েছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। আর শতক ছাড়িয়ে দেশী পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। এ ছাড়া দেশী হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে। পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকার বেশি বেড়েছে। এই ঊর্ধ্বগতি সীমিত আয়ের মানুষের জন্য দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে কয়েক দিন ধরে চলা বৃষ্টিপাতকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদন হয় সেই এলাকাগুলোতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে ঢাকার পাইকারি বাজারে সবজির আমদানি কম হচ্ছে। ফলে পাইকারি বাজারেই সবজির দাম বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, গাঁজর প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পটোল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দুল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বেগুন (লম্বা) প্রতি কেজি ৮০, গোল বেগুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ১০০ টাকা এবং কাঁকরোল প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

টানা অস্থিরতা দেখা গেছে আলুর বাজারেও। এ নিত্যপণ্যটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে আলুর কেজি ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে দাম প্রায় আরও ৫ টাকা বেড়েছে। আলুর এ দাম সাধারণত ক্রেতার জন্য একেবারেই অস্বাভাবিক। গত বছরের এ সময়ে আলুর কেজি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণ বেড়েছে আলুর দাম। চড়া দামে থাকা ডিমের বাজারও অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, কক প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, লেয়ার প্রতি কেজি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য দিকে আগের বাড়তি দামেই প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায় এবং খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০০ টাকায়।

পাশাপাশি বাজারে সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি পাবদা বিক্রি ৫০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, কাতল প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, কই প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, গোলসা প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, টেংড়া প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বড় বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় আইড় মাছ প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে সব ধরনের পণ্যের দামই আকাশ ছোঁয়া। বরবটি করলা বেগুনসহ বেশ কয়েকটি সবজির দাম ১২০ টাকা হয়েছে। ১০০ টাকার ঘরে আছে শসা, কাঁকরোল। কাঁচামরিচের কেজি দাঁড়িয়েছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। মাছ গোশতের দাম তো আগে থেকেই বেশি। সাধারণ মানুষ যে সবজি খাবে সেগুলোর দামও দেখছি আকাশ ছোঁয়া হয়ে গেছে। যখন যেভাবে ইচ্ছা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, সেখানে ক্রেতাদের কিছুই বলার নেই, কিছুই করার নেই।


আরো সংবাদ



premium cement