ব্রিটেনে ভোটের আগেই হেরে যাওয়ার সুর কনজারভেটিভদের
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
চৌদ্দ বছরের টোরি শাসনের অবসান ঘটিয়ে লেবার পার্টির বিপুল বিজয়ের পূর্বাভাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ব্রিটেনের সাড়ে চার কোটি ভোটার। রয়টার্স জানায়, এ নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টিকে সরিয়ে কিয়ার স্টারমারের লেবার পার্টিকে ক্ষমতায় আনবে বলে সবগুলো জনমত জরিপেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে পার্লামেন্ট নির্বাচনের একদিন আগেই কিয়ার স্টারমারের লেবার দলের কাছে একপ্রকার পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। ক্ষমতাসীন দলটি বুধবার বলেছে, বিরোধী দলে থাকা লেবাররা রেকর্ড ভাঙা জয়ের পথে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ৬৫০টি নির্বাচনী আসনের সবগুলো কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ চলে একটানা রাত ১০টা পর্যন্ত।
রাত ১১টার দিকেই প্রথম আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে আর আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় ৯টার মধ্যেই বেশির ভাগ আসনের ফলাফল জানা যাবে বলে জানিয়েছে বিবিসি। নির্বাচনপূর্ব সবগুলো জরিপে মধ্য-বামপন্থী লেবার পার্টি বড় ধরনের জয় পেয়ে টানা ১৪ বছরের কনজারভেটিভ শাসনের অবসান ঘটাবে বলে আভাস দেয়া হয়েছে। রয়টার্স বলছে, শুক্রবার সকালেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের দফতরের ‘চাবি হাতে পেয়ে যেতে পারেন’ লেবার নেতা স্টারমার। বুধবার রাতে বাজার গবেষণা ও তথ্য বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ইউ গভের প্রকাশ করা সম্ভাব্য ফলাফলে জানানো হয়েছে, লেবার পার্টি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দল থেকে ২১২টি আসন বেশি পেতে পারে, এমনটি হলে দলটি নতুন ইতিহাস গড়বে। বুধবার স্টারমার ও কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, উভয়েই ভোটের আগে শেষ দিনের মতো প্রচারণা চালান। উভয়েই ভোটারদের সতর্ক করে বলেন, বিপক্ষ দল জিতলে অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়বে। কিন্তু দলের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফলাফলের পূর্বাভাসের মুখে কনজারভেটিভরা ক্ষতি সীমাবদ্ধ রাখার দিকেই মনোযোগ দিয়েছিল। লেবার সরকারের মোকাবেলায় কার্যকর বিরোধীদল হয়ে উঠতে তাদের পর্যাপ্ত আসন দরকার বলে প্রচারণা চালিয়েছে তারা। কনজারভেটিভ মন্ত্রী মেল স্ট্রাইড বিবিসিকে বলেন, ‘আমি পুরোপুরি মেনে নিচ্ছি এই মুহূর্তে জরিপে যা বোঝা যাচ্ছে তাতে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) লেবারদের বৃহত্তম জয় দেখতে হতে পারে, বৃহত্তম সংখ্যাগরিষ্ঠতা যা এই দেশ এর আগে দেখেনি।’ স্ট্রাইডের মন্তব্যের বিষয়ে সুনাকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি দ্বিমত না করে আইটিভিকে বলেন, ‘আমি প্রত্যেকটি ভোটের জন্য কঠিন লড়াই করছি।’
৯৫টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে রেকর্ড চার হাজার ৫১৫ প্রার্থী এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ৩৪ জন, যাদের প্রচার ঘিরে ১০ লাখের বেশি ব্রিটিশ-বাংলাদেশীর মধ্যে দেখা গেছে উৎসবের আমেজ। প্রচারপর্বে সব প্রার্থীই প্রতিশ্রুতির ডালি মেলে ধরেছেন ভোটারদের সামনে। এবার নাগরিকদের রায় দেয়ার পালা। ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর ঘরে ক্রস চিহ্ন দিয়ে তারা জানাবেন, কারা হবেন পার্লামেন্টে তাদের প্রতিনিধি। তাতেই নির্ধারিত হবে- কোন দলের হতে যাবে থযুক্তরাজ্যের শাসনভার। ৪৪ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক উত্তর ইংল্যান্ডে তার নির্বাচনী এলাকা রিচমন্ডের একটি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সকাল সকাল ভোট দেয়ার কাজটি সেরে ফেলেছেন। ভোটকেন্দ্রের বাইরে স্ত্রী অকশতা মূর্তির হাত ধরে ক্যামেরাবন্দীও হয়েছেন। তবে ভোট শুরুর আগেই হেরে যাওয়ার সুর বেজেছে তার দলের নেতাদের বক্তব্যে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা