১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

উত্তপ্ত কোটাবিরোধী আন্দোলন

শাহবাগসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ : নয়া দিগন্ত -


২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিলের পরিপত্র হাইকোর্টের অবৈধ ঘোষণা ও ৫৬ ভাগ কোটা পুনর্বহালে রায়ের প্রতিবাদে ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে রাজপথ। গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথ অবরোধসহ, বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি), সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (শাবিপ্রবি) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।
শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবি হলো- ১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। ২. ‘১৮-এর পরিপত্র বহালসাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। ৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। ৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঢাবি প্রতিনিধি জানান, ২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা কোটা পুনর্বহালে রায় জারির প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাবির বিপুলসংখ্যক সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশী। গতকাল বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়। শুরুতে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি টিএসসি, কার্জন হলসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে এসে জড়ো হয়।এরপর সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। এ সময়, ‘১৮-এর পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে’, কোটা না মেধা; মেধা মেধা’, ‘কোটা প্রথা নিপাক যাক, ‘মেধাবীরা মুক্তি পাক’ সেøাগানে মুখরিত হয় শাহবাগ এলাকা। বিক্ষোভ চলাকালে শাহবাগের আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ঢাবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী শারজিস আলম বলেন , উচ্চ আদালত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে রায় জারি করে দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসন শুরু করেছেন। আমরা শিক্ষার্থী, রাস্তায় সময় নষ্ট করা আমাদের কাজ নয়। আজ কোটা বৈষম্য বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। যতক্ষণ না ১ম ও ২য় শ্রেণীর সরকারি চাকরিসহ অন্যান্য সব সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বাতিলের পরিপত্র বহাল না হয় ততক্ষণ আমরা রাজপথে থাকব।
তিনি আরো বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন করছে। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্র ঘোষণা প্রমাণ করে ছাত্রসমাজ জানে দাবি আদায় কিভাবে করতে হয়। বুধবার উচ্চ আদালতে আপিলের শুনানির তারিখ। রায় যদি আমাদের পক্ষে না আসে এ দেশের ছাত্রসমাজ তাদের আন্দোলনের সক্ষমতা দেখিয়ে দেবে। সরকারি চাকরির সবগুলো গ্রেডে কোটা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর রহমান শ্রাবণ বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমাদের দেশে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখা কখনোই যুক্তিযুক্ত হতে পারে না। মুক্তিযোদ্ধারা কখনো বৈষম্য চাননি। সবার জন্য সমান অধিকার চেয়েছেন। আমরাও চাই না ডিজিটাল এই বাংলাদেশে কোটার মতো বৈষম্য থাকুক। আন্দোলন শেষে শিক্ষার্থীরা আজ বেলা ১১টার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ
জবি সংবাদদাতা জানান, সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ও চার দফা দাবি বাস্তবায়নে রাজধানীর পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি মিছিল নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাঁতিবাজার মোড়ে পৌঁছেন। সেখানে অস্থান নিয়ে তারা কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। সেখানে তারা এক ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তাঁতিবাজার মোড় ত্যাগ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘জেগেছে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যয়’, আঠারোর হাতিয়ার’ গর্জে উঠো আরেক বার’, কোটাপ্রথা নিপাত চাই, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘মেধাবীরা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ স্লোগান দেন।
আন্দোলনে আরো সরকারি কবি নজরুল কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। এ সময় সানাউল্লাহ সাজিদ নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন, কোটাপ্রথার বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন ২০১৮ সালে সরকার আমাদের দাবি মেনে নিলেও আবার এটা চালু করেছে। পয়লা জুলাই থেকে আমরা লাগাতার আন্দোলন করছি, দাবি মানা না হলে এ আন্দোলন চলবে।
অপর শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন বলেন, আন্দোলন যত দিন না সফল হবে, তত দিন আমরা ঘরে ফিরব না। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এ আন্দোলন অবশ্যই সফল হবে।
মেহেরুন্নেছা নামে এক নারীশিক্ষার্থী বলেন, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোথাও নারীরা কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। তাই প্রাথমিকে নারীদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটাসহ সব ধরনের কোটার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা জানান, সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয় (জাবি) ডেইরি গেটে (প্রধান ফটক) গতকাল একই দাবিতে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অবরোধে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। বিশেষ করে বয়স্ক এবং শিশুরা দেড় ঘণ্টা মহাসড়কে অস্বস্তিকর অবস্থায় সময় কাটান।
শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম বলেন, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি হবে। ২০১৮ সালে জারি করা সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ চার দফা দাবিতে আমরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করছি। আমরা এ কোটাপদ্ধতি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। এর আগে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডেইরি গেট প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়। পরে প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

বাকৃবিতে ট্রেন থামিয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন
বাকৃবি প্রতিনিধি জানান, চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাপ্রথা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রেললাইনে ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী ট্রেন অবরোধ করে রেললাইনে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে সমবেত হন বাকৃবির প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কে আর মার্কেট হয়ে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। মিছিল চলাকালীন ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, কোটা প্রথার কবর দে’ সহ নানান স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে মুক্তমঞ্চের সামনে একটি প্রতিবাদ সভা করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদ সভা শেষে সেখান থেকে আব্দুল জব্বার মোড় পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি আব্দুল জব্বার মোড়ে পৌঁছালে ওই সময় ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেন আটকে রেখে রেললাইন অবরোধ করে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় এক ঘণ্টা (বেলা ১টা ২০ থেকে ২টা ২০ মিনিট) যাবৎ রেললাইন অবরোধ করে রাখার পরে আবার ট্রেন চলাচল সচল হয়।
আন্দোলন চলাকালীন মেডিসিন বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মাশশারাত মালিহা বলেন, ২০১৮ এর ছয় বছর পরে একই কোটা নিয়ে আবার আন্দোলনে নামতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এটিকে কি দেশের উন্নতি বলা যায়? ঘুরে ফিরে আমরা ছয় বছর পিছিয়েই রইলাম। মুক্তিযোদ্ধা কোটা যদি থাকবেই তাহলে ’৭১-এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রাণত্যাগ অর্থহীন হয়ে যায়। আমরা আমাদের বন্ধুবান্ধবদের প্রায়ই বলে থাকি যে তাদের তো মুক্তিযোদ্ধা কোটা আছে। চাকরি পেতে তাদের তো মেধার দরকার নেই। এর মাধ্যমে কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকেই প্রতিনিয়ত অবমাননা করা হচ্ছে। আমরা দেশের বীরদের অবশ্যই সম্মান করব। তবে কোনো ধরনের কোটা বৈষম্য আমরা মেনে নেবো না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ, চাকরিতে নিয়োগ এবং অন্যান্য সব প্রতিযোগিতার জায়গায় আমরা মেধার শতভাগ মূল্যায়ন চাই।

শাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সিলেট ব্যুরো জানায়, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ কর্মসূচি শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি ইউনিভার্সিটি সেন্টার ভবনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় গোলচত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে গোলচত্বরে ২০ মিনিট অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবি জানান।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে; গর্জে উঠুক আরেকবার, একাত্তরের হাতিয়ার; কোটা না মেধা? মেধা, মেধা; অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন, কোটাপ্রথার বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন; আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই; আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার; কোটাপ্রথা যেখানে, লড়াই হবে সেখানে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ আল গালিবের সঞ্চলনায় বক্তব্য দেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সজীব হোসেন ও সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদার।

বরিশালে মহাসড়ক অবরোধ
বরিশাল ব্যুরো জানায়, কাফনের কাপড় পরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিলের দাবিতে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেছে। ববির গেট সংলগ্ন মহাসড়ক বুধবার বেলা ১১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এসময় মহাসড়কের দুই পাশে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া শতশত যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে পড়ে। নগরীর রূপাতলী বাসটার্মিনালের কাঁঠালতলা এলাকা থেকে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার জিরো পয়েন্ট তীব্র যানজট দেখা দেয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকায় যাত্রীরা ব্যাগ-বস্তা মাথায় নিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ কয়েক কিলোমিটার মহাসড়ক পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেন। এতে সব চেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন প্রবীণসহ নারী ও শিশুরা। পরে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ছাড়লে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগেও একই দাবিতে সোমবার ববি গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল এবং মঙ্গলবার ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।


আরো সংবাদ



premium cement