১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ভারতের সাথে সমঝোতা নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে : মির্জা ফখরুল

-


ভারতের সাথে রেল করিডোরসহ বিভিন্ন সমঝোতা সম্পর্ক নিয়ে সরকার জনগণের কাছে মিথ্যাচার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার বিকেলে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের কাছে কখনো সত্য কথা বলেনি। সবসময় প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মানুষকে তারা বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে। আজকে যেসব সমঝোতা-চুক্তি সই করে এসেছে এর মধ্যে পরিষ্কার করে বলা আছে যে, এসব সমঝোতা হয়েছে। এই সমঝোতাগুলোর অর্থই হচ্ছে যে, অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে নির্ভরশীল করে ফেলবে ভারতের কাছে। এটা প্রমাণ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, সমঝোতার মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হলো রেল করিডোর। এই রেল করিডোর বাংলাদেশের কোনো কাজে লাগবে না। অন্যান্য বিষয়- আকাশ-স্থল-নৌপথ সবখানে তারা ভারতকে পার্টনারশিপ দিয়ে দিয়েছে। পার্টনারশিপে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, কানেক্টিভিটিতে আমাদের আপত্তি নেই। বাংলাদেশ কী পেল সেটিই হচ্ছে প্রধান। আমরা এখানে কিছু পাইনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা সেই পানি আমরা পাইনি, তিস্তা নদীর পানি আমরা পাইনি। আমাদের সীমান্তে হত্যা বন্ধ হচ্ছে না, আমাদের বাণিজ্যঘাটতি আছে। সে জন্য আমরা সমঝোতা-চুক্তি নিয়ে যেসব কথা বলছি, সেটি সত্য কথা বলছি। আমরা কোনো ষড়যন্ত্রের কথা বলছি না। আমরা বলছি, এই অবৈধ সরকারই আজকে চক্রান্ত করছে যে, বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করে ফেলার। ‘জঙ্গিবাদের নামে ওরা বিরোধীদের নির্যাতন করেছে’।
হোলে আর্টিসান দিবসের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, হোলে আর্টিসানের ঘটনার আমরা নিন্দা জানিয়েছি। যেকোনো ধরনের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা, আমরা আন্তর্জাতিক ও জাতীয় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এই সরকার যেটা করেছে তারা জঙ্গিবাদের নাম করে তাদের বিরোধী পক্ষকে হয়রানি করেছে, তাদেরকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদেরকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে।

দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নবনিযুক্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে আইনজীবীদের নিয়ে মির্জা ফখরুল শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং মরহুম নেতার রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করেন।
এ সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ৯ জুন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী মারা গেলে সেই পদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। দায়িত্বভার নেয়ার পর তিনি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এই অনুষ্ঠান।

‘খালেদা জিয়ার মুক্তি: আইনি লড়াইয়ে নামার শপথ’
জাতীয়বাদী আইনজীবী ফোরামের নতুন সভাপতি অ্যাডভেকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা কোর্টের আইনজীবীরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার এসেছি, আমরা তার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য আমরা আজকে শপথ নিয়েছি। ইনশাল্লাহ অল্প কিছু দিনের মধ্যে আমরা চেষ্টা করবো বিচার বিভাগের মাধ্যমেই আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য এবং সেজন্য সকল আইনজীবীরা প্রস্তুত হয়ে আছে। ইনশাল্লাহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এবং আমরা আল্লাহর রহমতে সফল হবো।


আরো সংবাদ



premium cement