গোপালগঞ্জে পরীক্ষার্থীদের হিজাব খোলার নির্দেশ হল পরিদর্শকের

চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার মুকসুদপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে (কেন্দ্র কোড : ৩৩৬) পরীক্ষার্থীদের পরন থেকে হিজাব, ওড়না ও বোরকা খুলে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম ও খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুফতি মুফতি রুহুল আমীন। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতি মোহাম্মদ তাসনীম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন বলেন, আমি বিশ্বস্তসূত্রে জানতে পেরেছি গতকাল এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন একজন পরিদর্শক মুকসুদপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা পরিদর্শনে আসেন এবং পরীক্ষার হল পরিদর্শনকালে তিনি হিজাব ও বোরকা আবৃত মেয়েদের গা থেকে বোরকা-হিজাব খুলে ফেলেন এবং তাদের কটুকথা শোনান এবং আগামী পরীক্ষাগুলোতে যেন তারা কোনো ধরনের বোরকা-হিজাব বা বড় ওড়না জড়িয়ে না আসে বরং চেহারা, চুল খোলা থাকে এমন পোশাক পরিধান করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার নির্দেশ দেন। এতে পরীক্ষার্থীরা ভীতসন্ত্রস্ত ও মর্মাহত হয়ে পড়ে। মুফতি রুহুল আমীন বলেন, পরীক্ষার্থীদের সাথে এমন আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং কোনোভাবেই কাম্য নয়।

আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন বিবৃতিতে আরো বলেন, বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ, এ দেশের মানুষ ধর্মভীরু, ইসলামের প্রতিটি আহকামের ব্যাপারে যতœশীল। আবহমান কাল থেকে মেয়েরা বোরকা-হিজাব পরে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছে; কখনো কোনো সমস্যা হয়নি, কিন্তু হঠাৎ করে হজরত ছদর ছাহেব রহ: ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মুকসুদপুর সরকারি কলেজ সেন্টারে কেন এমন ঘটনা ঘটানো হলো এটা আমাদের বোধগম্য নয়। এরা ইসলামের অলঙ্ঘনীয় বিধান পর্দার সাথে কটাক্ষ করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে পরীক্ষা চলাকালীন দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় কি না এ বিষয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের গভীর নজর রাখতে হবে।
বিবৃতিতে তিনি আগামী পরীক্ষা গুলো যেন পরীক্ষার্থীরা ইসলামের অলঙ্ঘনীয় বিধান পর্দার হুকুম মেনে বোরকা-হিজাব পরে অংশগ্রহণ করতে পারে এবং কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হতে না হয়, সে ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়ে বলেন, যদি বোরকা-হিজাব পরিহিত পরীক্ষার্থীদের কোনো ধরনের হয়রানি করা হয়, তাহলে যেকোনো পরিস্থিতির দায়ভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে। বিজ্ঞপ্তি।