রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কাছে ব্যাংকের পাওনা ৫১,৩৯১ কোটি টাকা
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ২৫ জুন ২০২৪, ০০:০৫, আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৫:৪৯
- বিএডিসির কাছে ১৫,৫৫০ কোটি টাকা
- চিনিকলগুলোর কাছে ৭,৮১৩ কোটি টাকা
- সার, রসায়ন ও ওষুধ শিল্পে ৭,২৫০ কোটি টাকা
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ৫১ হাজার ৩৯১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা পাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত ৫৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকগুলোর এই পরিমাণ টাকা পাওনা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি পাওনা ১৫ হাজার ৫৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) কাছে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত ২০০৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। তার এই বক্তব্য প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
অর্থমন্ত্রী জানান, বড় অঙ্কের টাকার মধ্যে চিনি কলগুলোর কাছে পাওনা প্রায় সাত হাজার ৮১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, সার, রাসায়নিক ও ওষুধ শিল্পের কাছে সাত হাজার ২৫০ কোটি ৭১ লাখ টাকা, অন্যান্য অ-আর্থিক সরকারি সংস্থার কাছে ছয় হাজার ৬০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কাছে পাঁচ হাজার ১৮ কোটি টাকা, বাংলাদেশ বিমানের কাছে পাওনা চার হাজার ৪৪১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, মেশিন ট্যুলস ফ্যাক্টরির কাছে ৫৮৭ কোটি টাকা, বাংলাদেশ সার্ভিসেস লি. এর কাছে ৫৮০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ জুট মিলসের কাছে ৬০৩ কোটি টাকা, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ৬৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির কাছে ১৯৮ কোটি ৩৬ লাক টাকা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের কাছে ১৪৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের কাছে ১৩৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা, ইই ফান্ডের কাছে ১৬৫ কোটি টাকা, বিটিসিএলের কাছে ২৭৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা, হোটেলস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের কাছে (তিন তারকা ও তার উপরের) ১৩১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো ব্যাংকেই আর্থিক সঙ্কট নেই। তবে কিছু ব্যাংকে উচ্চ খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি ও তারল্য সমস্যা বিদ্যমান। এ সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন করে কর্মকর্তা ৯টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক হিসেবে এবং সাতটি ব্যাংকে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োজিত।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত হ্রাস পাওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হওয়ায় মানুষ আমানত তুলে বিনিয়োগ করছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থাহীনতা বা মূল্যস্ফীতির কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত কমছে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা