১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

প্রধানমন্ত্রী শুধু দিয়েই আসেন কিছুই আনতে পারেন না : জামায়াত

-

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যখনই ভারতে যান, তখন শুধু দিয়েই আসেন; কিছুই আনতে পারেন না। এটা তার নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফসল।
প্রধানমন্ত্রীর অতিসম্প্রতি ভারত সফরকালে তিস্তাসহ ভারত-বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে চরম ব্যর্থতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। মিয়া গোলাম পরওয়ার আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতিসম্প্রতি ভারত সফরকালে ভারতের সাথে যে ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে, তাতে তিস্তাসহ ভারত ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীগুলোর পানির বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়ে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ ব্যর্থতা অত্যন্ত লজ্জাজনক।’

তিনি আরো বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য পাওনা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার। এ অধিকারের সাথে আমাদের অস্তিত্ব তথা কৃষি, শিল্প, ব্যবসায়-বাণিজ্য ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ জড়িত। বাংলাদেশ সরকার অনির্বাচিত হওয়ার কারণেই অভিন্ন নদীর পানির বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়ের ব্যাপারে দরকষাকষিতে বারবার নতজানু নীতি ও দুর্বলতা প্রকাশ করে আসছে। প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনীহার কারণেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হচ্ছে না। তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশের পানি সংরক্ষণের যে প্রস্তাব ভারত দিয়েছে তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। ভারতের নদীসংযোগ প্রকল্প সম্পর্কে অবিলম্বে ভারতের কাছে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিবাদ জানানো উচিত। পানির ন্যায্য হিস্যা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সুরমা-কুশিয়ারা অববাহিকা অঞ্চলের বৃহত্তর সিলেটের উজানের অভিন্ন নদীগুলোর উপর ভারতের বাঁধ নির্মাণের কারণে প্রতি বছরই সিলেট অঞ্চলে বন্যায় হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। অথচ এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভারতের সাথে কোনো কথাই বলেননি। এ ব্যাপারে আমাদের সুস্পষ্ট অভিমত হলো, ভারত-বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যাসহ আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত ভারতকে ট্রানজিটসহ যেসব সুবিধা দেয়া হয়েছে তা বন্ধ রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা উদ্বেগের সাথে আরো লক্ষ্য করছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলকাতা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনসার্ভিস ও কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বাসসার্ভিস চালুর জন্য ভারতের সাথে যে চুক্তি করেছেন তাতে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলেছেন। প্রধানমন্ত্রী যখনই ভারতে যান, তখন শুধু দিয়েই আসেন; কিছুই আনতে পারেন না। এটা তার নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফসল। আওয়ামী লীগ সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা প্রতিবারই প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে ভারতের হস্তক্ষেপে বারবার ক্ষমতায় আসে। ফলে জনসমর্থনহীন আওয়ামী লীগ সরকারকে বরাবরই ভারতকে তুষ্ট করে ক্ষমতায় থাকতে হয়।
তিনি নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ছেড়ে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।


আরো সংবাদ



premium cement
আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবি এক দিনে দেড় হাজার মার্কিনির সাজা মাফ করলেন বাইডেন ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই’ পাটখাতে সংকট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : পাট উপদেষ্টা তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবি : ৩ দিন সাগরে ভেসে ছিল শিশুটি বিএসএমএমইউ’র ভিসিকে অবরুদ্ধ করে স্নাতকোত্তর কোর্সে ঢোকার চেষ্টা ১৩ চিকিৎসকের অস্ট্রেলিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী শিক্ষক নিহত ডিজিটাল যুগে ইসলামিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও চ্যালেঞ্জ থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস নিষিদ্ধ রিজার্ভ বেড়ে এক হাজার ৯০০ কোটির ঘরে এবার শীত কম হবে, নাকি বেশি

সকল