চমক দেখাচ্ছে উট-দুম্বা
- আবুল কালাম
- ১৩ জুন ২০২৪, ০০:০০
রাজধানীর পশুরহাটে চমক দেখাচ্ছে উট ও দুম্বা। সব সময় বড় বড় গরুর দাম নিয়ে হইচই হলেও এবার আলোচনা হচ্ছে উট আর দুম্বার দামে। গাবতলীসহ কিছু হাটে এবার তোলা হয়েছে ভারতীয় উট। যেগুলোর দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ। আর মরুর দুম্বাও গরুর দামকে ছাড়িয়েছে। এগুলোর দাম চাওয়া হচ্ছে তিন লাখেরও বেশি। এ নিয়ে গাবতলী হাটে হইচই চলছে। শেষ পর্যন্ত এগুলো কেমন দামে বিক্রি হয় তা এখন দেখার বিষয়।
অন্য দিকে গরুর পরই ছাগল ও খাসির চাহিদা বেশি। দামও একেবারে কম নয়। ছাগল ২০ থেকে ২৫ হাজার হলেও খাসির দাম ৪০ থেকে লাখ টাকার বেশি। অন্য দিকে কোরবানির ঈদের আর মাত্র তিন দিন বাকি থাকলেও এখনো গরুর বাজারে ক্রেতা তেমন আসেননি। বিক্রেতারা গরু নিয়ে অপেক্ষায় থাকলেও বিক্রি তো দূরে থাক কেউ দরদামও করতে আসেনি। বিক্রেতারা বলছেন সাধারণত ঈদের দুই দিন আগে বিক্রি শুরু হয়। তাই কাল থেকে হাট জমবে বলে তাদের ধারণা।
গতকাল উত্তর শাহজাহানপুর গরু ছাগলের হাট ঘুরে দেখা যায় বিশাল হাট জুড়ে সারিবদ্ধভাবে গরু নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। কিন্তু ক্রেতা না থাকায় সেখানে অলস সময় পার করছেন তারা। অনেকক্ষণ ঘুরে সেখানে গরুর পরিচর্যায় পাইকারদের ব্যস্ততা চোখে পড়লেও কোনো ক্রেতার দেখা মেলেনি।
একাধিক বিক্রেতা জানান, তাদের মধ্যে কেউ এসেছেন দুই দিন আগে আবার কেউ একদিন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিক্রি তো দূরে থাক কেউ দরদামও করছেন না। তাদের ভাষ্য, সাধারণত কোরবানির পশুরু বাজার শুরু হয় ঈদের দুই দিন আগে। সে হিসাবে শনিবার থেকে বাজারে ক্রেতার দেখা মিলবে। এরপর টানা দুই দিন বাজারে কেনাবেচা চলবে।
জামালপুর থেকে আসা নাইম জানান, তিনি যে গরু নিয়ে এসেছেন তার দাম চাচ্ছেন এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। তার ভাষ্য তাতে গোশত হবে সাড়ে ৪ মণ।
গতকাল থেকে বাজারে এলেও এখনো কোনো ক্রেতার দেখা পাননি। ফলে কেউ দামও করেনি। কত হলে বিক্রি করবেন জানতে চাইলে তিনি জানান এক দাম এক লাখ ৪০ হাজার।
গতবারের চেয়ে এবার গরুর দাম বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছর এমন গরুর দাম ছিল সর্বোচ্চ ১ লাখ ২০ হাজার। কিন্তু খরচ বেড়ে যাওয়াতে এবার গরু প্রতি প্রায় ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।
একই এলাকা থেকে আসা আরেক বিক্রেতা রুহুল জানান, তিনি ছোট সাইজের ৬টি গরু নিয়ে এসেছেন। এর একেকটিতে গোশত হবে ১২০ কেজি। দাম চেয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। তার ভাষ্য আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত কেউ দর দাম করেনি।
বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে কিছুটা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাজারে গরুর পরিচর্যায় পানিসহ যা যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা অপ্রতুল। ফলে অনেক বেশি কষ্ট করতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা নীরব জানান, তিনি ৫টি গরু নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে তার কাছে থাকা সবচেয়ে বড় গরুতে গোশত হবে ৬ থেকে ৭ মন। দাম চাচ্ছেন ৩ লাখ। এবার আসার পর এখনো কোনো ক্রেতা পাননি।
তাই চাহিদা অনুযায়ী দামে বিক্রি করতে পারবেন কি না তা নিয়ে কিছুটা টেনশনে আছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা