সহজ জয়ে আশায় পাকিস্তান
- ১২ জুন ২০২৪, ০০:৫৯
আগেই দুই ম্যাচে কানাডা ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হার। ফলে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ার প্রবল শঙ্কায় পাকিস্তান। তাদের সামনে ক্ষীণ সম্ভাবনা। সেই আশার পালে বাতাস লাগাতে জিততে হবে গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচ। গতকাল নিউইয়র্কের নাসাউ স্টেডিয়ামে বাকী দুই ম্যাচের প্রথমটিতে সেই কাঙ্খিত জয়ই পেয়েছে বাবর আজমের দল। টসে হারা কানাডার ৭ উইকেটে ১০৬ রানের জবাবে সাবেক টি-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ১৭.৩ ওভার ব্যয় করে ৭ উইকেট হারিয়ে তুলে নেয় জয় তারা। তাদের স্কোর ১০৭/৩। আজ যুক্তরাষ্ট্র-ভারত ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে পাকিস্তানকে।
ভারতের বিপক্ষে আগের ম্যাচে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সাথে বাবর আজম ওপেন করলেও কাল রিজওয়ানের সঙ্গী হন সিয়াম আইয়ুব। তবে বেশী দূর যেতে পারেননি সিয়াম। ১২ বলে ৬ রান তুলেই আউট তিনি। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান বাবর ও রিজওয়ান। দলীয় ৮৩ রানে ৩৩ বলে ৩৩ করে বাবর আউট হন। তাকে উইকেট রক্ষকের হাতে ধরা পড়তে বাধ্য করেন গায়ানায় জন্ম নেয়া ডিলন হাইলিগার। সিয়ামের উইকেটও তার দখলে। ১৮ রানে তার দুই শিকার। জয়ের খুব কাছে থাকতে ফখর জামান ৪ রানে গডনের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দলের সংগ্রহ তখন ১০৪। এরপর উসমান খানকে সাথে নিয়ে দলকে এবারের আসরের প্রথম জয় এনে দেন রিজওয়ান। রিজওয়ানের ৫৩ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও একটি ছয়ের মার। উসমান অপরাজিত ছিলেন ২ রানে। ম্যাচ সেরা মোহাম্মদ আমির।
একেতো দুর্বল প্রতিপক্ষ কানাডা। তার উপর পিচের বৈরী আচরণ। ফলে পাকিস্তানী বোলারদের তোপের মুখে কোনো মতে একশত রান পার করা উত্তর আমেরিকার দেশটির। দলের ১০৬ রানের মধ্যে ওপেনার অ্যারন জনসনই করেন সর্বোচ্চ ৫২ রান। ৪৪ বলে ৪টি ছয় এবং সমান সংখ্যক বাউন্ডারিতে ফিফটি করেন জ্যামাইকান বংশো™ভূত এই ব্যাটার। দলের মাত্র আর দুই ব্যাটার ডাবল ফিগারে পৌঁছাতে সক্ষম হন। অধিনায়ক সাদ বিন জাফর ১০ এবং কালিম সানা অপরাজিত ১৩ রান করেন। পাকিস্তানী বোলারদের মধ্যে হারিস রউফ ও মোহাম্মদ আমির ২টি করে উইকেট নেন যথাক্রমে ২৬ ও ১৩ রানের বিনিময়ে। শাহীন আফ্রিদি ২১ রানে একটি এবং ২৪ রানে এক উইকেট নেন নাসিম শাহ। নাসিমের বলেই বোল্ড হন জনসন।
পাকিস্তানের পরের ম্যাচ ১৬ জুন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। কানাডা তাদের শেষ ম্যাচে ১৫ তারিখে পাচ্ছে ভারতকে। কানাডা এর আগে আয়ারল্যান্ডকে ১২ রানে হারিয়েছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা