মোবাইলে ইন্টারনেট ও কথা বলার খরচ বাড়ছে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০৫
দেশে মোবাইল ফোনের কল রেট ও ইন্টারনেটের দাম বেশি পড়ে বলে গ্রাহকদের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিনের। এবার তাদের সেই দুঃসংবাদটা আরেকটু বেড়ে গেল। কারণ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কল রেট, ইন্টারনেট প্যাকেজ ও সিমকার্ডসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর আরো বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহার ও মোবাইল ফোনে কথা বলার খরচ বাড়ছে। এ ছাড়াও নতুন সিমকার্ড কিনতে গ্রাহকদের বাড়তি টাকা গুনতে হবে।
আগে মোবাইল ফোনের কল রেট ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক দিতে হতো গ্রাহকদের। এখন তা আরো ৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর সঙ্গে ভোক্তাদের ১ শতাংশ সারচার্জ দিতে হবে। নতুন করে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়ানোয় একজন গ্রাহক এখন ১০০ টাকার রিচার্জ করলে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কেটে নেওয়ার পর ৬৯ টাকা ৩৫ পয়সার কথা বলতে বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। আগে গ্রাহকরা ৭৩ টাকার কথা বলতে বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারতেন। অর্থাৎ, ১০০ টাকা রিচার্জে আগের চেয়ে ৩ টাকা ৬৫ পয়সার কথা কম বলতে বা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে এ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে গ্রাহকদের মোবাইল ফোনে কথা বা ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ আরো বাড়ছে। প্রস্তাব অনুযায়ী নতুন এ কর হার গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই কার্যকর হয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত সিমকার্ড বিক্রির ওপরও কর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যেকোনো মোবাইল অপারেটরের সিম কেনার ক্ষেত্রে ১০০ টাকা কর বাড়ানো হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, বর্তমানে মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের ওপর কর রয়েছে ২০০ টাকা। এটি বাড়িয়ে ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে গ্রাহককে সিমকার্ড কিনতে বাড়তি ১০০ টাকা গুনতে হবে।
কল রেট, ইন্টারনেট প্যাকেজ ও সিমকার্ডের দাম বাড়লেও প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল ফোন উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণের করমুক্ত আমদানি সুবিধা রাখা হচ্ছে আরো দুই বছর। দেশীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দিতে এ সুবিধা বহাল রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, মোবাইল ফোন উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যে জারিকৃত বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতার মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল রয়েছে। দেশীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে ওই প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতার মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করার সুপারিশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বর্তমানে ১৭টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল ফোন উৎপাদন করছে। তাদের দাবি- দেশে যে পরিমাণ চাহিদা, তার প্রায় ৯০ শতাংশই উৎপাদনকারীরা মেটাতে পারেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা