ব্যাংকক শীর্ষ সম্মেলনে ঘোষণা করা হবে বিমসটেক ভিশন-২০৩০
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ০৪ জুন ২০২৪, ০০:০০
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে সাত জাতি বিমসটেকের ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করা হবে। এ সম্মেলনে সমুদ্র যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে। এ ছাড়া কয়েকটি ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে।
গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিমসটেক সচিবালয়ে বাংলাদেশ কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতির (ডিকাব) সদস্যদের সাথে মতবিনিময়ে সংস্থার মহাসচিব ইন্দ্রা মানি পেন্ডি এসব কথা জানান। আগামী সেপ্টেম্বরে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য তারিখ প্রস্তাব করেছে থাইল্যান্ড। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সম্মতির ভিত্তিতে তা চূড়ান্ত করা হবে। থাইল্যান্ডের পর বাংলাদেশ বিমসটেকের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবে।
ইন্দ্রা মানি পেন্ডি বলেন, আসন্ন শীর্ষ সম্মেলন বিমসটেকে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন শক্তি যোগ করবে। শীর্ষ সম্মেলনে বিমসটেক ভিশন-২০৩০ গ্রহণ করা হবে, যা হবে একটি চমৎকার দলিল। এবিমসটেককে দিকর্দেশনা দেয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। তিনি বলেন, গত ২০ মে বিমসটেক সনদ কার্যকর হয়েছে। এটি বিমসটেকে নতুন সদস্য ও পর্যবেক্ষক নেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে অংশীদারিত্বের পথ খুলে দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ মার্চ শ্রীলঙ্কায় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে বিমসটেক সনদ সই হয়েছে।
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে বিমসটেক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে কি না- জানতে চাইলে মহাসচিব বলেন, বিমসটেক কারিগরি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে। আর এর আলোচ্যসূচি নির্ধারণ করেন সদস্য দেশগুলোর নেতৃবৃন্দ। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করে দেয় বিমসটেক। তিনি বলেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত ইস্যুগুলো নিয়ে বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা বৈঠক করেন। আঞ্চলিক সহযোগিতায় সফলতার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য সহায়ক।
২০ বছর আগে বিমসটেক মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (এফটিএ) চুক্তি সই হলেও তা বাস্তবায়নের পথে বাধা কোথায়- জানতে চাইলে ইন্দ্রা মানি পেন্ডি বলেন, এটা নিয়ে সমঝোতা চলছে। তবে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোটা কঠিন হয়ে গেছে। বাংলাদেশ এই আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছে।
মহাসচিব বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বিমসটেকের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আছে। বিমসটেককে একটি সাফল্যের গল্পে পরিণত করতে সব সদস্য রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড বঙ্গোপসাগরের ওপর নির্ভরশীল দেশ। দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও বিমসটেকের মতো বহুপক্ষীয় ফোরাম সবাইকে সহযোগিতা করছে।
বিমসটেক ১৯৯৭ সালে ব্যাংককে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৪ সালে ঢাকায় এর সদর দফতর স্থাপন করা হয়। বিমসটেক দেশগুলোতে ১৮০ কোটি মানুষের বসবাস, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা